ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে লিবিয়া হয়ে ইতালি নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মামুন (৩০) রাতে অতর্কিত হামলার শিকার হন। তার অবস্থা আশংকাজনক।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে লিয়াকত মাতুব্বর ও সাবেক মেম্বার জুলহাসের নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাজরাকান্দা গ্রামের আদম পাচারকারী নুরআলম বিদেশে নেওয়ার কথা বলে এলাকার বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন তিনি মজিবুর শিকদারের ছেলে সাকিবের কাছ থেকেও প্রায় ২৮ লাখ টাকা নিয়েছেন।বর্তমানে সাকিব লিবিয়ার একটি কারাগারে আটক রয়েছেন ।
তারা আরো জানান, নুরআলম শেখ লিবিয়ায় অনেক যুবককে পাচার করে সেখানকার মাফিয়া চক্রের মাধ্যমে আটকিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে থাকে। এ ধরনের ঘটনায় এলাকায় চলমান উত্তেজনার মাঝে সম্প্রতি স্থানীয় যুবক মামুনকে একা পেয়ে মারধর করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় মাজেদের দোকানের সামনে। স্থানীয়দের দাবি হামলায় লিয়াকত মাতুব্বর ও তার সহযোগীরা অংশ নেন। এতে মামুন গুরুতর আহত হন।
এর জের ধরে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ঢাল, সরকি, রামদা ও ইট-পাটকেল ব্যাবহার হয়।
দুই পক্ষের এ হামলা নিয়ে গ্রাম জুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ভাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত মামুন শেখ (৩০) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এছাড়া সিরাজ শেখ (৫৪), ইব্রাহীম (৩৫) ও লুৎফর শেখ (৫০) ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে ।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
কেকে/লআ