চলতি বোরো মৌসুমের আগে বিলের পানি নিস্কাশন না করেই হরি–আপার ভদ্রা নদীতে ক্রস বাঁধ দেওয়ার ঘটনায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নিকট আবেদন করেছেন হরি–ঘ্যাঁংরাইল অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাপাউবো সদস্য মহির উদ্দিন বিশ্বাস।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, হরি–ঘ্যাঁংরাইল অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮১.৫ কিলোমিটার নদী খনন প্রকল্পের অংশ হিসেবে গত ২০ নভেম্বর সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্রস বাঁধ দিয়ে নদী খনন শুরু হবে—এ তথ্য জানতে পেরে তারা বিস্মিত হন।
হরি–আপার ভদ্রা অববাহিকায় চলতি বোরো (ইরি) মৌসুমে কেশবপুর, মনিরামপুর, যশোর সদর, অভয়নগর, ফুলতলা, ডুমুরিয়া ও তালা—এই ৭টি উপজেলায় প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ ও পানি নিস্কাশনের মাধ্যমে ২হাজার ৫০০কোটি টাকার বেশি খাদ্য উৎপাদন এবং ৫০০ কোটি টাকার বেশি গো-খাদ্য (বিচালি) উৎপাদন হয়। মোট উৎপাদনের মূল্য ৩হাজার কোটি টাকারও বেশি।
কিন্তু নির্ধারিত তারিখে ক্রস বাঁধ দিলে এ এলাকায় গো-খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হবে না বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘের মালিক ও কৃষক/জমির মালিকদের চুক্তি অনুযায়ী বোরো মৌসুমে চাষাবাদ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
কৃষকদের খাদ্য ও গো-খাদ্য উৎপাদনের স্বার্থে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে হরি–আপার ভদ্রা নদীতে ক্রস বাঁধ দিয়ে নদী খনন কাজ শুরুর অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
কেকে/ আরআই