নির্বাচনী প্রচারণায় এসে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহফুজুল ইসলামের ইমামতিতে নামাজ আদায় করলেন নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় এসে হোমনার ছোটঘাড়মড়া বাগেরশাহী জামে মসজিদে নামাজে ইমামতি করেন তিনি।
এ সময় স্থানীয় মুসল্লি ও দলীয় নেতাকর্মীরা তার পেছনে নামাজ আদায় করেন। এর আগে তিনি সকালে রঘুনানাথপুর দরবার জিয়ারত করেন এবং কাশিপুর বাজার, দুলালপুর ও ছোটঘাড়মড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন।
লিফলেট বিতরণের সময় তিনি বলেন, “দেশনায়ক তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফা দিয়েছেন সেগুলোই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম রূপরেখা। তারেক রহমানের ৩১ দফায় শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্যসহ সার্বিক উন্নয়নের কথাসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্গানের কথা বলা হয়েছে। তারেক রহমান বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আজ প্রস্তুত। ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে আপনারা ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তারেক রহমানের হাতকে আরও শক্তিশালী করুন।”
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুল ইসলাম বলেন, “আমার এলাকার উন্নয়ন ও দলের জন্য আমার সারাটা জীবন ব্যয় করেছি। আমি একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। এরশাদ আমলে সংসদ সদস্য হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কখনো লোভনীয় প্রস্তাব গ্রহণ করিনি। অর্থের বিনিময়ে কেউ আমাকে কিনতে পারেনি এবং পারবেন না। কারণ আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার রাজনীতি করি। দলের কাছে প্রত্যাশা থাকবে আমাকে নমিনেশন দেয়ার। আমি দলকে হোমনা-তিতাস আসনটি উপহার দিবো, ইনশাআল্লাহ।””
এদিকে, চার দশকের বেশি সময় ধরে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই প্রবীণ নেতা হোমনা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি। ২০১৬ সালে তিনি দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। তবে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে প্রার্থীতা তখন স্থগিত রাখা হয়। এখনো পর্যন্ত এ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
কেকে/ আরআই