স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজ্জাকসহ তিন চারজন রাত তিনটার দিকে স্থানীয় মৃত মালেক হাওলাদারের ছেলে হবি হাওলাদারের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে স্বর্ণালংকার নিতে চাইলে প্রথমে বাড়ির লোকজন এবং পরে গ্রামবাসী এসে তাকে গণধোলাই দেয়।পুলিশ আসতে দেরি হওয়ায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে চারটার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন হযরতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ঢালী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজ্জাক একই ইউনিয়নের মধুরচর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।

নিহতের মামাতো বোন শারমিন জানান, রাজ্জাকের বন্ধু আলামিন ভোর সাড়ে চারটার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। তার অভিযোগ, রাজ্জাক, অভিযুক্ত আলামিন ও কবির একসাথে চলাফেরা করত, কিন্তু রাজনীতি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা দেখা দিলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা তার ভাইকে হত্যা করেছে। তারা এ ঘটনার বিচার চান।

আরেক বোন হনুফা বলেন, আমার ভাই একজন ড্রাইভার। স্ত্রী চলে যাওয়ায় সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। তাকে মারার সময় আমরা কাছেই ছিলাম। হবি, কবির, বোরহান, আফসু, সাত্তারা মিলে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমাদের কাছেও যেতে দেয়নি। আমার আরেক ভাই বাদল এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে অভিযুক্তরা।

অভিযুক্ত আলামিনের বোন হালিমা জানান, তার ভাইকে শত্রুতাবশত এ ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। সে স্থানীয় চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকে। ডাকাতির খবর শুনে সকালে সেখানে এসেছে। সে নিরপরাধ।

চাচি পারুল বেগমের অভিযোগ, নিহত রাজ্জাক একজন পেশাদার অপরাধী। তার পরিবারের সবাই চুরি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আলামিন নয়, গ্রামবাসীর গণপিটুনিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী কোন মতামত জানাতে রাজি হয়নি। 

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, তবে তদন্ত চলছে।

কেকে/লআ