চট্টগ্রামের (রাউজান-৬) সংসদীয় আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহিদুল করিম বলেছেন, “আমরা নতুন ধারার রাজনীতি এবং এলাকা গড়তে অঙ্গিকারবদ্ধ। আমরা চাই সাধারণ জনতার কাতারে থেকে জনপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে। সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল বাজির রাজনীতির পর্ব শেষ করতে।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পথেরহাট বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “আমারা যদি সংসদে যাই, তাহলে থাকবে না আমাদের কোন গাড়ি বহর কিংবা আগে পিছে মােটরসাইকেলের শোডাউন। কারণ এসবে মানুষ অতিষ্ঠ হয়। আমরা জনতার কাতারে থেকে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে এলাকায় শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।”
রাউজানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্টের পর এই সংসদীয় আসনে মাসে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এরসাথে জড়িত বিএনপির রাজনৈতিক নেতার অনুসারীরা। আবার আওয়ামী লীগ থেকে অনুপ্রবেশকারীদেরও আমরা দেখছি। যার কারণে এখানকার সাধারণ জনগণের মাঝে সব সময় একটা আতঙ্ক কাজ করছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং হত্যার রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ করা হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের রাজনীতি মানুষের জন্য, দেশের জন্য। সাধারণ জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য। সাধারণ জনতার হয়ে কাজ করায় আমাদের প্রধান কাজ।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির উত্তর জেলা কমিটির সদস্য আরমান হোসাইন, উত্তর জেলা যুবশক্তি সংগঠক বেলাল বিন জসিম তাসকিন, এনসিপি নেতা শামসুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, ইফতিয়ার হোসেন সিফাত, আয়াত উল্লাহ মুরাদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জাহিদুল করিম উপজেলা এনসিপির সংগঠক পদে আছেন। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। গত ১২ নভেম্বর তিনি এনসিপির ঢাকা কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এছাড়া তিনি তার বাবার নামে গড়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেজাউল করিম সিকদার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পলোয়ান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
কেকে/ আরআই