হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা-বাগানে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী অবস্থায় রয়েছে। সেতুটির দুইপাশের মাটি সরে যাওয়ায় দশ কয়েক হাজার বাসিন্দা ও চা শ্রমিকরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। প্রতিদিন শত শত চা শ্রমিক ও স্কুল শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে ছড়া নদী পার হয়ে কর্মস্থল ও বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর তিনেক আগে সুরমা চা-বাগানের ছড়া নদীর ওপর প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু নির্মাণের অল্প কিছুদিন পরই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও নিম্নমানের কাজের কারণে সেতুটির দুইপাশের সংযোগ-মাটি বৃষ্টির পানিতে সরে যায়। এতে সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বাগানের ২০ নম্বর সেকশন এলাকায় বসবাসরত চা শ্রমিকরা জানান, সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার সময় ছড়ায় পানি বৃদ্ধি পেলে কেউ এই পথে চলাচল করতে পারেন না। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা বিকল্প ঝুঁকিপূর্ণ পথ ব্যবহার করছেন।
চা শ্রমিক নির্মলা দেবী বলেন, “দুই বছর ধরে এই ভাঙা সেতুর কারণে আমরা প্রচন্ড কষ্টে আছি। বৃষ্টি নামলে ছড়া পার হতে ভয় লাগে, অনেক সময় পিছলে পড়ে যাই।”
আরেক চা শ্রমিক সুনিতা তেপা বলেন, “এত টাকা খরচ করে সেতুটা বানানো হলো, কিন্তু এখন সেটি মৃত্যুফাঁদ হয়ে গেছে। কেউ এসে দেখেও যায় না।”
বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক কমল সরকার বলেন, “সেতুটির এপ্রোচ ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আমরা উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডি দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শ্রমিকরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।”
মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউন নবী বলেন, “সেতুর কাজ এখনও শেষ হয়নি। কাজ চলমান রয়েছে।”
কেকে/ আরআই