বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: নির্বাচনী জোটের আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে : রাশেদ খান      গণতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমান      সিসিইউতে খালেদা জিয়া      নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিচার হচ্ছে : রিজভী      প্লট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফের ১৮ বছর কারাদণ্ড      প্লট দুর্নীতি : জয়-পুতুলের পাঁচ বছর কারাদণ্ড      শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড      
অর্থনীতি
চড়ছে নিত্যপণ্যের বাজার : ইলিশ-সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী
খোলা কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:২০ পিএম
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ঢাকায় চড়া হয়েছে মাছ-সবজির বাজার। বিশেষ করে ইলিশের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত, ফলে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে এ মাছ। শীতকালীন সবজির দামও বাড়তি; কমেছে শুধু ডিম ও সোনালি মুরগির মূল্য।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকায় কারওয়ান বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
 
সপ্তাহ ব্যবধানে ঢাকার বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে রুপালি ইলিশ। ফলে, ভোজনরসিক বাঙালির পাতে ইলিশ ওঠাই এখন যেন দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে গিয়েও ক্রেতারা ইলিশের দিকে হাত বাড়াতেও ভয় পাচ্ছেন। এতে চিরচায়িত প্রবাদ ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ এখন অনেকটাই ফিকে।
  
বিক্রেতারা বলছেন, ‘সপ্তাহ ব্যবধানে ইলিশ কেজিতে বেড়েছে ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ২০০ টাকায়। আর ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা।’
 
চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য মাছও। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়ে প্রতিকেজি তেলাপিয়া ২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, রুই ৫৫০ টাকা, কাতলা ৫০০ টাকা ও পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।
 
ইলিশের দাম নিয়ে বাজারে ক্রেতাদের স্পষ্ট ক্ষোভও লক্ষ্য করা গেছে। তারা বলেছেন, ‘দাম তো কমছেই না। উল্টো বেড়ে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।’

কারওয়ান বাজারে মাছ কিনতে আসা জাহিদুল হক বলেন, ‘ইলিশের দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ইলিশ কেনার সামর্থ্য অনেকেরই নেই, ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্যান্য মাছের দামও বেশ চড়া।’
 
মাছের দামের ঊর্ধ্বমুখিতা স্বীকার করে মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে সরবরাহ একেবারেই কম।’

ইলিশ ব্যবসায়ী মো. শুকুর আলী বলেন, ‘বাজারে ইলিশের সরবরাহ তেমন একটা নেই। ইলিশ কম আসছে। এতে দাম বাড়ছে।’
 
এদিকে বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করলেও দাম কমার বদলে উল্টো বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, ‘কিছু কিছু সবজির দাম সপ্তাহ ব্যবধানে ১০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১২০ টাকা, শিম ১৪০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা ও মুলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি বেগুন ১০০ টাকা,আলু ২৫ টাকা ও শসা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
এছাড়া প্রতি পিস ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি ধুন্দল ৭০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, আলু ৩০ টাকা ও কাঁচা মরিচের জন্য গুনতে হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা।
 
ত্রেতারা বলছেন, ‘শীতকালীন সবজির দাম অনেক বেশি। এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।’

ক্রেতা আতিকুর রহমান বলেন, ‘শীতের মৌসুমেও বাড়তি দামে সবজি কিনতে হলে আর কিছু বলার নাই। যেটাতেই হাত দিচ্ছি, সেটারই দাম বেশি। ৬০-৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই।’
 
ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করলেও সেটি চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া গত কয়েক দিন ধরে সরবরাহের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। এতে বাড়ছে দাম। 

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শিমুল খান বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। শীতকালীন সবজি বাজারে কম আসছে। বাজারে প্রভাব পড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতারও।’
 
তবে, বাজারে সামান্য কমেছে পেঁয়াজের দাম। কেজি ১০ টাকা পর্যন্ত কমে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি রসুন ১০০ টাকা ও আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আর প্রতিকেজি দেশি আদা ২২০ টাকা ও ভারতীয় আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
বাজারে কমেছে ডিম ও সোনালি মুরগির দামও। তবে, স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার ও লাল লেয়ার মুরগির দাম। কেজিতে ১০-২০ টাকা কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকায়। আর প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৬৫-১৭০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা।
 
ডজনে ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে ডিমের দামও। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন সাদা ডিম ১২০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।

ঢাকার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম সাধারণ ক্রেতাদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। বিশেষ করে ইলিশসহ মাছের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও শীতকালীন সবজির চড়া দাম ভোক্তাদের দৈনন্দিন বাজারকে আরও কঠিন করে তুলছে। সরবরাহ কমে যাওয়াকে ব্যবসায়ীরা দায়ী করলেও ক্রেতাদের অভিযোগ—বাজারে অস্থিতিশীলতা ও ব্যবসায়ীদের কারসাজিই মূল কারণ। তবে, ডিম ও সোনালি মুরগির দাম সামান্য কমায় বাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা দিয়েছে।

কেকে/এমএ
আরও সংবাদ   বিষয়:  চড়ছে নিত্যপণ্যের বাজার   ইলিশ   সবজির দাম   ঊর্ধ্বমুখী  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

কাঠালিয়ায় ঝালকাঠির নতুন জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময়
ইটনায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১
নির্বাচনী জোটের আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে : রাশেদ খান
ফরিদপুরে পাটবীজ বিক্রয় তরান্বিতকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
তিন ভাইয়ের মিশ্র বাগা‌নে কমলার বাম্পার ফলন

সর্বাধিক পঠিত

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বান্দরবানে কুরআন খতম ও মাহফিল
কক্সবাজারে ৭ উপজেলায় ইউএনও রদবদল
কাপাসিয়ায় অবৈধ কয়লা চুল্লি পুনরায় চালু, পরিবেশ বিপর্যস্ত
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের মামলার রায় আজ, আদালতে বিজিবি মোতায়েন
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে কাপাসিয়ায় বিক্ষোভ

অর্থনীতি- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close