সাগরপথ ব্যবহার করে মিয়ানমারে পণ্য পাচারের সময় কক্সবাজারের টেকনাফ ও নোয়াখালীর হাতিয়ায় পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও ডাল জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। এ সময় ২টি ট্রলার, ২টি ফিশিং বোটসহ ৩৩ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১২ নভেম্বর) গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীতে এসব অভিযান চালানো হয়।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন শাকিব মেহবুব সাংবাদিকদের জানায়, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে ছেঁড়াদিয়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালানো হয়।
ওই সময় মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে যাওয়া ২টি ট্রলার আটক করে তল্লাশি চালিয়ে ৬৫০ বস্তা সিমেন্ট ও ৬০০ বস্তা মটর ডাল জব্দ করা হয়। পণ্যের আনুমানিক মূল্য ৩৩ লাখ টাকার বেশি। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ট্রলার ২টিতে থাকা ২২ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এ অভিযান চালায় কোস্টগার্ডের একটি দল। হাতিয়া স্টেশনের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২টি ফিশিং বোট আটক করেন। পরে বোট ২টিতে তল্লাশি চালিয়ে ৬৪৫ বস্তা সিমেন্ট জব্দ ও ১১ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা সিয়াম উল হক খোলা কাগজ কে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মেঘনা নদীপথ ব্যবহার করে সিমেন্ট ও সারসহ বিভিন্ন পণ্য মিয়ানমারে পাচার করে আসছে, এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। জব্দ পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। আটক ব্যক্তিদের হাতিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’
কোস্টগার্ড বলছে, ‘পাচারকারীরা সিমেন্ট ও ডাল পাচারের বিপরীতে মিয়ানমার থেকে মাদক এনে বাংলাদেশে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল।’
কেকে/বি