চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, “বাংলাদেশের একজন নাগরিক যদি চায়, যদি ভাগ্য সহায় হয় উনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারবেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারবেন, সংসদ সদস্য হতে পারবেন, মন্ত্রী হতে পারবেন, প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন। কিন্তু চাইলেই কেউ মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবেন না। তো আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, এটা বিরল সম্মান এবং সৌভাগ্যের অধিকারী।”
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আসন্ন সংসদ নির্বাচন আশা করি শান্তিপূর্ণ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। কোন প্রার্থীর পক্ষে কোন আসনে কে কাকে সমর্থন দেবে এটা তার ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক ইচ্ছা। এই ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক ইচ্ছার যেন সঠিক প্রতিফলন হয়, সেজন্যই দীর্ঘ ১৫ বছর সংগ্রাম করা হয়েছে। আমার ভোটের অধিকারটা যেন আমি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি, আপনার ভোটের অধিকারটা যেন আপনি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন। বিষয়টা এমন না যে সারাজীবন আপনাকে একই দলে ভোট দিতে হবে, বিশেষ করে আপনারা যারা মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ কোনো দলের অনুসারী না।”
তিনি বলেন, “আমরা একটা দলের অনুসারী। আমরা একটা দল করি, পদ-পদবি আছে। যেকোনো সময় নির্বাচন হলে আমাদের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতেই হবে। কিন্তু আপনারা যারা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না, সাধারণ মানুষ মানুষ, আপনাদের মতো যারা মহান ব্যক্তি, তারা আপাদের মতো আপনার সিদ্ধান্ত নেবেন। এই ব্যাপারে কোনো আবেদনও করব না। কারণ আপনাদের জ্ঞানের স্তর অনেক ওপরে।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দীন দলুর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা উম্বাত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মন্টু সরকার, মজিবর রহমান, আবদুল কাদের, সুজাউদ্দৌলা, মোজাফফর প্রমুখ
কেকে/ আরআই