নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকলেও ঘর পোড়ানোর অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অন্য স্থানের আগুনের ভিডিও ব্যবহার করে মামলাটি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে না গিয়েই প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনসহ মামলার আসামিরা।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে নিঝুমদ্বীপের হরিণ বাজার এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা মানববন্ধন করেছে। এতে অংশ নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী, ইমাম, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
স্থানীয়রা জানান, মামলার বাদী শিরিন আক্তারের বাড়ি বাজারের পাশেই অবস্থিত, যেখানে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন নেই। ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাজী ইমরান হোসেন। তিনি ঘটনাস্থলে না গিয়েই টাকার বিনিময়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাকী আক্তার বলেন, “ঘর পোড়ানোর কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দেওয়া ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। বেলাল উদ্দিন বৈধভাবে ১৪ লাখ টাকায় জমিটি ক্রয় করেন এবং পরবর্তীতে বিরোধ মেটাতে আরও ৮ লাখ টাকা প্রদান করেন। তবুও তার প্রতিপক্ষ নানা কৌশলে হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে একই পক্ষ চারটি মামলা করেছে।”
মামলার বাদী শিরিন আক্তার বলেন, “ছয় মাস আগে রাতে রান্নাঘরের পাশে জালের মধ্যে আগুন লাগে। পাশের একলোক এসে আগুন নিভিয়েছে। তবে কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুন কে লাগিয়েছে তা আমি দেখিনি।” কেন মামলা করলেন এই প্রশ্নে তিনি কোনো সুস্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি।
মামলার সাক্ষী লতু মাজি বলেন, “আগুন লাগার বিষয়টি আমি শুনেছি তবে দেখিনি। আমাকে কেন সাক্ষী করা হয়েছে তা আমি জানিনা।”
তদন্ত কর্মকর্তা কাজী ইমরান হোসেন বলেন, “বাদী আগুনের ছবি ও ভিডিও সরবরাহ করেছেন। তাতে ঘটনাটি সত্য মনে হওয়ায় আমি সে মোতাবেক প্রতিবেদন দিয়েছি। আসামিপক্ষ আমার কাছে এসে ঘটনাটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে। আমি তাদেরকে পুনঃতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করতে বলেছি।”
কেকে/ আরআই