ঢাকার ধামরাইয়ে একটি মারধরের মামলায় যুবদলের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একই মামলার প্রধান অভিযুক্ত যুবদল নেতা এইচ এম লুৎফর রহমান কর্মীদের দেখতে এসে সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে ধামরাই থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত রাতে থানায় যুবদল নেতা এইচ এম লুৎফর রহমান আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে বুধবার রাতে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের পাবরাইল এলাকা থেকে যুবদলের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন এইচ এম লুৎফর রহমান, সেলিম হোসেন, মনোয়ার হসেন ও বাবর আলী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষক নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এস. এম. লুৎফর রহমান। নির্বাচনের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি আহত হন। পরে ঐ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিনি আসামি হন। সেই মামলার ভিত্তিতেই বুধবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করার পর লুৎফর ধামরাই থানায় এসে নিজ কর্মীদের জন্য নিজে আত্মসমর্পণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এস. এম. লুৎফর রহমান একজন জনপ্রিয় শিক্ষক ও সমাজসেবক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং সংগঠনের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে তার গ্রেফতারের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
ধামরাই থানার (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “একটি মারধরের মামলায় যুবদল নেতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
কেকে/ আরআই