দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষনার পরেও কেন সীতাকুণ্ডে বঞ্চিত হওয়া আসলাম চৌধুরীর সমর্থনকারীরা বিক্ষোভ করছে? শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ থাকতে, এরপরেও বিক্ষোভ করা কি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে কিনা? কেন সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করছেন দলের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি? আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন না দিলে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের নেতাকর্মিরা মাঠে থাকবে কিনা, অবশেষে সীতাকুণ্ড আসনটি বিএনপি থেকে হাত ছাড়া হয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট জলিল বাদশা ফেয়ারল্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন। আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার হুশিয়ারি দিয়ে সমাবেশ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. কমল কদর দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরেও কেন সীতাকুণ্ডে বঞ্চিত হওয়া আসলাম চৌধুরীর সমর্থনকারীরা বিক্ষোভ করছে এমন প্রশ্নে জবাবে বলেন আমরা আজ এই সমাবেশে লাখ লাখ তৃণমূলের মানুষ জমায়েত হয়েছি। আমাদের যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন বঞ্চিত করার প্রতিবাদে। দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এই সমাবেশ থেকে বুঝে নিবে তৃণমূলের মানুষ আসলাম চৌধুরীকে কীভাবে সমর্থন করে। তাই আমাদের এই বিক্ষোভ অত্যন্ত যৌক্তিক।
দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ থাকতে এতে এরপরেও বিক্ষোভ করায় কি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, আসলাম চৌধুরী একদিনে তৈরি হয় নি। ৯ বছর কারাবন্দি থেকেছেন। দুইভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে প্যারোলেও মুক্তি পাননি। তার বিকল্প এই সীতাকুণ্ডবাসী মেনে নিবে না। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ তখনি হতো যদি আমরা ভুলমানুষের জন্য মাঠে নামতাম। দলীয় এই সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ড বিএনপির তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ কোনভাবেই মেনে নিবে না।
আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন না দিলে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের নেতাকর্মিরা মাঠে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রবীন এই রাজনীতিবীদ বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মিদের মতামত নেওয়া হয় নি। যদি তৃণমূলের মতামত নেওয়া হতো আসলাম চৌধুরীর নাম অবশ্যই তালিকায় থাকতো। এখানেই কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভুল বুঝানো হয়েছে। তার মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলতে থাকবে। ইতিমধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়ন বিএনপি ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সেক্রেটারিদের স্বাক্ষরিত মতামত আমরা সংগ্রহ করছি। আজ সমাবেশে সবার গণস্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এসব কিছু প্রমাণের জন্য পাঠানো হবে। আমরা মাঠে থাকলে আসলাম চৌধুরীকে নিয়েই থাকবো।
অবশেষে সীতাকুণ্ড আসনটি বিএনপি থেকে হাতছাড়া হয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, অবশ্যই হাতছাড়া হয়ে যাবে। কেন্দ্র ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি মনে করি।
উল্লেখ্য এই আসনে কাজী সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণার পর থেকেই এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সীতাকুণ্ড জুড়ে।
কেকে/এআর