আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই তালিকায় নাম নেই বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাবেক সাংসদ শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের। তিনি নীলফামারী-১ আসন থেকে বিএনপি থেকে নির্বাচন করার কথা।
তবে, তালিকা ঘোষণার সময়ই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, এটি দলের প্রাথমিক তালিকা। দল মনে করলে যেকোনো কারণে যেকোনো সংশোধনী আসতে পারে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দেখা গেছে, এই তালিকায় নাম নেই তুহিনের। নাম না থাকলেও এই আসনে কোন প্রার্থী ঘোষণা না করে আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে।
নীলফামারী-১’-এর পাশাপাশি নীলফামারী-৩ আসনটিতেও কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি। তবে, নীলফামারী-২ আসনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রুবেল ও নীলফামারী-৪ আসনে আব্দুর গফুর সরকারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন বলে আলোচনায় ছিলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। তবে, মনোনয়ন তালিকায় তার নাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা।
নেতা-কর্মীরা ধারণা করছেন- কৌশলগত কারণে হয়তো নীলফামারী-১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। তবে, তাদের ধারণা- শেষ পর্যন্ত তুহিনেই বিএনপির প্রার্থী হবেন।
বিএনপি নেতারা দাবি করছেন, নীলফামারী-১ আসনটিতে তুহিন ছাড়া অন্য কাউকে প্রার্থী করা হলে নিশ্চিত আসনটি হারাবে দল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘এই এলাকার ভোটাররা তুহিন ভাইকে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে। তুহিন ভাই ও দলীয় নেতাকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে। তুহিন ভাই এমপি হলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে- এই কারণে, এবার ভোটাররা তুহিন ভাইকে বেছে নিযেছিলেন। অথচ প্রার্থী তালিকায় তুহিনের নাম না থাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তবে, অনেকেই ধারণা করছেন- হেফাজত ও জমিয়তের সাথে জোট হতে পারে বিএনপির। জমিয়তের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর নির্বাচনী এলাকা এটি। হয়তো জোটগতভাবে নির্বাচন করলে আসনটি মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে জোটের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেন দলটি।’
কেকে/ এমএ