শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া গ্রামে পানির বোরিং করতে গিয়ে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছেন স্থানীয় এক কৃষক। বোরিংয়ের গর্ত থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে আগুন ধরিয়ে রান্নার কাজও করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষক নূর মোহাম্মদ কয়েক দিন আগে বাড়িতে পানীয় জলের জন্য সাব-মার্সিবল বোরিং করছিলেন। প্রায় ৪০ ফুট গভীরে পৌঁছানোর পর মাটির নিচ থেকে প্রচণ্ড চাপ অনুভূত হয়। পাইপ বারবার ওপরে উঠে আসতে চাইলে কাজ বন্ধ করে কাছেই আরও একটি বোরিং শুরু করা হয়। কিন্তু, একই ঘটনা সেখানে ঘটায় তৃতীয় ও চতুর্থবার বোরিং পরিবর্তন করতে হয়।
শেষ পর্যন্ত এক পর্যায়ে বোরিংয়ের গর্ত দিয়ে বুদবুদ শব্দে পানি ও বাতাস বের হতে থাকে। আগুন দিলে সেটি জ্বলে ওঠে, আর সেই আগুন ব্যবহার করে স্থানীয়রা রান্না করছেন।
নূর মোহাম্মদ বলেন, “পানির বোরিং করতে গিয়েই গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এখন গর্ত দিয়ে গ্যাস উঠছে, আগুন দিলে ভাতও রান্না হচ্ছে। বিষয়টি জানাতে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ খোঁজ নেয়নি।”
এলাকার ওয়ার্ড সদস্য হযরত আলী জানান, এর আগেও এ এলাকায় কয়েক জায়গায় বোরিং করার সময় গ্যাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ‘গাছগড়া গ্রামের গ্যাসের বিষয়টি জ্বালানি বিভাগকে জানানো হয়েছে। তারা এসে তাদের কার্যক্রম করবে।’
শেরপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, “গ্যাসের পরিমাণ নির্ধারণের বিষয়টি পেট্রোবাংলা দেখে। তবে, উন্মুক্ত স্থানে মাটির নিচের গ্যাসে আগুন দেওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রাখলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।”
কেকে/এমএ