নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে আবু হানিফ নামের এক নৈশ প্রহরীকে ইট দিয়ে থেতলে হত্যার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হয়ে ওঠে।
হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত র্যাব ও পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের খানপুর জোড়া পানি ট্যাংকির ভেতরে ৬ জন যুবক মিলে আবু হানিফকে ইট দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি আঘাত করছে। এসময় সেখানে একটি ছোট শিশু দাঁড়িয়ে ছিল। অনেক কাকুতি মিনতি করেও হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাননি হানিফ। মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত আবু হানিফ বাগেরহাট জেলার শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে। তার স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। তিনি খানপুরের জিতু ভিলায় প্রহরীর কাজ করতেন।
জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর (সোমবার) দুপুরে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে আবু হানিফকে বাসা থেকে তুলে খানপুর জোড়া ট্যাংকির ভেতরে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। সেখানে তাকে ইট দিয়ে একের পর এক আঘাত করে থেতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে যুবকেরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাহার, সাইদুল ইসলাম ও মুশফিকুর রহমান নামের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া এলাকা থেকে অপু নামের এজাহারনামীয় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
নিহতের ভগ্নিপতি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ওই দিন দুপুরে তার শ্যালক আবু হানিফকে বাসা থেকে কয়েকজন যুবক মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায়। তারা খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মোহাম্মদ হাসিনুজ্জামান বলেন, নিরাপত্তা প্রহরী হানিফকে ইট দিয়ে থেতলে হত্যার ঘটনার একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। ওই ভিডিও পর্যালোচনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কেকে/ আরআই