চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভর্তুকিমূল্যের পণ্যের মধ্যে নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের ডিলার মেসার্স রহমান অ্যান্ড ব্রাদার্স গত মঙ্গলবার ও বুধবার (২১ ও ২২ অক্টোবর) পচা, পোকাধরা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল বিতরণ করেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় ভোক্তারা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চালের মান এতটাই নিম্নমানের যে তা খাওয়ার অনুপযোগী। অনেকেই বাধ্য হয়ে এসব চাল গ্রহণ করছেন। আবার কেউ কেউ পাশের দোকানে কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
কার্ডধারী আবু আহমদ বলেন, সরকারের দেওয়া সুবিধা নিতে আমরা লাইনে দাঁড়াই, কিন্তু ভালো চালের বদলে নষ্ট চাল দিচ্ছে। এটি সরাসরি প্রতারণা।
সুবিধাভোগী মমতাজ বেগম জানান, টিসিবির প্যাকেজে দেওয়া চাল এতটাই দুর্গন্ধযুক্ত যে মানুষ খাওয়াতো দূরের কথা, পশুকেও খাওয়ানো দায়।
অন্য সুবিধাভোগী আমেনা বেগম জানান, আমরা গরিব মানুষ, তাই কম দামে টিসিবির পণ্য নিতে আসি। কিন্তু চালের মান এত খারাপ যে খাওয়ার উপযোগী নয়, তবুও প্রয়োজনের তাগিদে নিচ্ছি।
দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের ১ হাজার ১৩ জন ভোক্তা টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করেন। প্রতিজন ৫৪০ টাকায় দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও পাঁচ কেজি চাল পান। তেল, ডাল ও চিনির মান ভালো থাকলেও চাল নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ডিলার এস. এস. মোর্শেদুল আমিন বলেন, আমরা উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে যে চাল পেয়েছি, সেটিই বিতরণ করছি। এর বাইরে আমাদের কিছু করার নেই।
তবে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক রোমান দাবি করেন, আমাদের গুদামে কোনো পচা বা নিম্নমানের চাল নেই। আমরা মানসম্মত চাল সরবরাহ করেছি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা খোন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিলারদের দায়িত্ব হচ্ছে পণ্য যাচাই করে নেওয়া। এর দায় ডিলারদের ওপর বর্তায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/ আরআই