চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার সমবায় বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা উপস্থিত থাকায় উপজেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুস শহিদ ভূঁঞা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) ফটিকছড়ি উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক হলে অনুষ্ঠিত সমবায় আইন ও বিধিমালা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল হোসেন অংশ নেন।
পরে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে কর্মশালার কিছু ছবি পোস্ট করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং উপজেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রমে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নেতাকে উপস্থিত থাকার সুযোগ দেওয়ায় সরকার ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সোমবার ১৮৮০ নম্বর স্মারকের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কর্মকর্তার নিকট উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আবদুস শহিদ ভূঁঞার বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
এরপর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জেলা সমবায় অফিস ১৫১৯ নম্বর স্মারকে উপ-সহকারী নিবন্ধক গাজী মো. ওমর ফারুক চৌধুরীকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। নির্দেশনায় বলা হয়, ‘তিন কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টির সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।’
এদিকে, ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর উপজেলা সমবায় অফিস নারায়ণহাট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে। এক দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নারায়ণহাট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের জানা ছিল না যে, আবুল হোসেন নিষিদ্ধ সংগঠনের পদধারী নেতা। বিষয়টি জানার পর আইন অনুযায়ী তাকে সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে জেলা সমবায় অফিসে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।’
কেকে/এমএ