নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে সনাতনী সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে বান্দরবান শহরের শ্রী শ্রী সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দির, নোয়াপাড়া কালি মন্দির, সুইচ গেইট শ্রী শ্রী রক্ষাকালি মন্দির, রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, শুধাংশু পাড়াসহ বেশিরভাগ মন্দিরে মন্দিরে চলে নানান ধর্মীয় আয়োজন।
সন্ধ্যা নামার পর থেকেই প্রতিটি সনাতন ধর্মালম্বীর পরিবারে জ্বলে ওঠে মোমবাতির আলো। প্রতিটি পরিবারে মোম প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূজা অর্চনা। পুজা মণ্ডপে মণ্ডপে জড়ো হয় শত শত সনাতনী ভক্তবৃন্দ। এসময় প্রদীপ জ্বালিয়ে আর ধুপধুনা দিয়ে মায়ের কাছে প্রার্থনা করে ভক্তরা। এসময় ঢাক ঢোল বাজনাসহ মণ্ডপে মণ্ডপে চলে বিভিন্ন আয়োজন।
এদিকে, স্টেডিয়াম এলাকার শুধাংশু পাড়ায় সন্ধ্যায় পূজা মণ্ডপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা সুলতানা খান হীরামনি। এসময় তারসাথে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবু সালেহ মো. আরমান ভুঁইয়া, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুনুর রহমান, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার, সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দুর্গোৎসব উদযাপন পরিষদের অর্থ সম্পাদক সুমন দাশ, মন্দির স্টেডিয়াম এলাকার শুধাংশু পাড়া শ্যামা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোক্তা কাজল মল্লিক, আহ্বায়ক রনি মল্লিক, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রুবেল দে, সাধারণ সম্পাদক টিটু দে, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ রুদ্র, অর্থ সম্পাদক অপু দাশ জয়, প্রচার সম্পাদক শ্রীকান্ত দাশসহ শত শত সনাতনী ভক্তবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
রাত এগারটা থেকে অমাবস্যা শুরুর পর থেকে শুরু হয় শ্যামাপূজা আর ভোরে অঞ্জলি প্রদানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে পূজোর। শ্যামাপূজা উপলক্ষে রাতব্যাপী বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে চলে আরতি প্রতিযোগিতা, শিক্ষা সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ।
হিন্দু পুরাণমতে মা কালী দূর্গাদেবীর একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার কাল শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের জন্য সনাতনী সম্প্রদায়ের ভক্তরা কালীপূজা পালন করে। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্যমা, তারামা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ নানা নামে পরিচিত।
কেকে/ এমএস