সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, প্রবীণরা আমাদের পথপ্রদর্শক। তাদের সম্মানজনক ও সুখী জীবন নিশ্চিত করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত ৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত র্যালি ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খাঁনের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ (এনডিসি), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ, বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জড়াবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের (বাইগাম) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল হক, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এন্তেজার রহমান এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘একদিন তুমি পৃথিবী গড়েছো, আজ আমি স্বপ্ন গড়বো, সযত্নে তোমায় রাখবো আগলে।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেও, সমাজের মূল্যবোধের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘প্রবীণ ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সঙ্গে সম্মানের জীবন কাটাবে—এটাই আমাদের লক্ষ্য। উন্নত দেশের মতো কমিউনিটি ভিত্তিক কেয়ার ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। এমনকি গ্রামের মানসিকতার মধ্যেও এই সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আগামীদিনের আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপনও নবীন ও প্রবীণদের সংমিশ্রণে আয়োজন করা উচিত, যাতে তারা একে অপরকে জানে ও কথা শুনতে পারে।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ প্রবীণদের অধিকার, সুস্থ জীবন এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের গুরুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা সমাজের দায়িত্ব পুনর্ব্যক্ত করে প্রবীণদের কল্যাণে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানটির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাইগামের মহাসচিব মনজু আরা বেগম।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। এতে অংশ নেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবীণ ব্যক্তিরা।
কেকে/ আরআই