কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করা হলে তা নোয়াখালীবাসী মানবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে এ হুঁশিয়ারি দেন নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের নেতারা।
নোয়াখালী জেলা সমিতি ঢাকা, ফেনী জেলা সমিতি ঢাকা ও লক্ষ্মীপুর জেলা সমিটি ঢাকার ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু বলেন, ‘নোয়াখালী জেলার আয়তন ২ হাজার কিলোমিটার। সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে নোয়াখালীর নেতারা প্রথম সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সিরাজুল আলম খানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আসম আব্দুর রব বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছে। প্রথিতযশা সাংবাদিকদের বাড়িও নোয়াখালী। পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর প্রথম জেলা কমিটি গঠিত হয় তা হলো নোয়াখালী জেলা সমিতি। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নোয়াখালীকে বিভাগ করার জোর প্রচেষ্টা চালানো হবে। বর্তমান বাংলাদেশের জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বাড়িও বৃহত্তর নোয়াখালী।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি ছিল সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ করা। এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নোয়াখালীকে বিভাগ করা এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসলে প্রথম অগ্রাধিকার হবে নোয়াখালীকে বিভাগ করা।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নোয়াখালী জেলা সমিতি ঢাকার সিনিয়র সহ-সভাপতি কেএম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নোয়াখালী জেলার রয়েছে তিন হাজার বছরের ইতিহাস। কুমিল্লার চেয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার আয়তনে বড় নোয়াখালী জেলা এবং জনসংখ্যা ৪০ লক্ষ। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলো নোয়াখালীতে অবস্থিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাড়িও নোয়াখালীতে অবস্থিত। নদীবন্দরসহ ব্লু ইকোনমিক অর্থাৎ সমুদ্র অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায় বাণিজ্যের জিডিপিতে নোয়াখালীর শিল্পপতিদের অবদান প্রায় ৩০ ভাগ।’
এসব কারণে এবং প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ ও জনগণের দোড়গড়ায় সেবা পৌঁছে দিতেও নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নোয়াখালী জেলা সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মাবুদ।
কেকে/ এমএ