কুমিল্লা লালমাই উপজেলা পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন শাসনপাড় (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মো. বাবুল মিয়া ৭ বছরের শিশু মেয়ে মুনতাহাকে ধর্ষণ অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী গ্রামের (৫৫) বছরের বৃদ্ধ মো. বাবুল হোসেন নামেই।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় মুনতাহার নিজের ঘরে এ ঘটনা শিকার হন শিশুটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুনতাহার আম্মা ঘটনায় সময় বাড়িতে ছিলেন না। তিনি কুমিল্লায় ছিলেন এই সুযোগ নিয়ে বাবুল হোসেন ঘরে ঢুকেন এবং বাসায় মুনতাহার বাবা বাথরুমে থেকে এসে দেখেন ধর্ষণকারী ঘরেই ভিতরে, তখন তিনি পাশাপাশি ঘরের লোক ডেকে নিয়ে আসেন। এই সময়ে এসে দেখেন মেয়ের হাতে ১০ টাকা ২টি নোট রয়েছে। তখন স্থানীয় লোক তাকে আটক করে পরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
অন্যদিকে, ধর্ষণকারী বাবুল হোসেন হলেন ভুক্তভোগী মুনতাহার আম্মা আপন চাচি বড় ভাই সম্পর্কে দিক বিবেচনা করলে তিনি তালতো ভাই। আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকার কারণে সব সময় আসা যাওয়া সময় মুহতার জন্য মাঝে মাঝে চকলেট নিয়ে আসতেন আগেই থেকেই খারাপ কু-দৃষ্টিতে দেখতেন।
এমন নরকীয় নির্যাতনের ঘটনায় এলাকাজুড়ে চলছে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা। অভিযুক্ত ধর্ষক বাবুল মিয়াকে মানবতার কলঙ্ক আখ্যায়িত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়— “এই পশুর বিচার চাই না, আমরা এই জানোয়ারের ফাঁসি চাই! যেন আর কোনো বাবুল মিয়া এমন ঘৃণ্য অপরাধ করার সাহস না পায়।” জাতি যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে সে জাতি শিশুদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। এ ঘটনার প্রতিবাদে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও শিশু নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে তারা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, লালমাই থানার সেকেন্ড অফিসার আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে একজন বৃদ্ধকে আটক করে মারধর করে এলাকাবাসী। খবর পেয়েই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে পুলিশি হেফাজতে আছে। শিশুর বাবা বাদী হয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা এজহার করে। আগামীকাল তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
কেকে/এআর