নোয়াখালী হাতিয়ায় একটি ডাকাতির মামলার আসামির নাম ঠিকানার সাথে কাকতালীয় ভাবে মিলে যাওয়ায় কারাগারে যেতে হয়েছে জসিম উদ্দিন নামে এক শিক্ষককে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল দশটায় উপজেলার প্রধান সড়কে হাতিয়া থানার সামনে উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে হাতিয়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাতিয়া উপজেলার নলচিরা ছিদ্দিকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. জসীম উদ্দিনকে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে শিক্ষক জসীম উদ্দিন মামলায় অভিযুক্ত সেই জসীম উদ্দিন নয়। শিক্ষক জসীম উদ্দিন ১৯৯১ সালে এসএসসি পাশ করে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। কিন্তু ১৯৯১ সালে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় জসীম উদ্দিন প্রকাশ দেলু, প্রকাশ তেলু নামীয় এক ব্যক্তিকে মামলার আসামি করা হয়েছে। তথন আসামির বয়স ছিল ৫২ বছর, অথচ ৩৪ বছর পরেও শিক্ষক জসিম উদ্দিনের বয়স ৫২ বছর হয়নি। মামলার আসামির নাম ঠিকানা কাকতালীয় ভাবে শিক্ষক জসিম উদ্দিনের নামে মিলে যাওয়ার তাকে আটক করা হয়েছে। যা কোন অবস্থায় কাম্য নয়। যথাযথ তথ্য উদঘাটন করে প্রকৃত আসামিকে সনাক্ত করার দাবি করেন বক্তরা।
হাতিয়া মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনম হাসান বলেন, একজন শিক্ষকের প্রতি এমন অন্যায় আচরণ শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয় বরং শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আস্থার সঙ্কট তৈরি করে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে তথ্য যাচাই করে দায়িত্বশীলতার সাথে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক জসীমের পরিবারের স্বজন নাসির উদ্দিন ঝন্টু বলেন, বিগত ত্রিশ বছর যাবত তিনি হাতিয়াতেই বসবাস করছেন এবং কখনই পলাতক ছিলেন না। সব সময় তিনি স্কুলে চাকরি করে আসছেন। কিন্তু কীভাবে তাকে এ মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক দেখিয়ে আটক করা হল তা বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা বলেন, মানববন্ধন যে কেউ করতেই পারে। কিন্তু আমরা যে ওয়ারেন্ট এ আসামির নাম ঠিকানা পেয়েছি তা যাচাই বাছাই করে উনাকে সনাক্ত করেছি। উনিই গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
কেকে/এআর