ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকাসহ উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম তিতাস নদী বেষ্টিত ঢোলভাঙ্গা এখন কচুড়ি পানার দখলে। সদর পৌরসভাসহ উপজেলার সংযোগ সংযোগ ব্রিজ হতে দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের ফেরাজিয়াকান্দি পর্যন্ত ২০টি গ্রামের প্রায় ২০ কিলোমিটার নদী জুড়ে কচুরিপানার বিস্তার রয়েছে। যার ফলে এই নদী দিয়ে নৌযান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।
পৌরসভার টেকপাড়া, দূর্গারামপুর, জগন্নাথপুর, দশদোনাসহ সোনারামপুর, বাখরনগর, কদমতুলি, গ্যাস ফিল্ড,সফিরকান্দিসহ ২০টি গ্রামের নদী দখল করেছে কচুরিপানা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চললেও এর সমাধানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। চিরচেনা তিতাস নদীতে কচুরিপানার স্তূপ জমে যাওয়ায় নৌযান চলতে অসুবিধা হচ্ছে। এবং নদীর পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এক সময় দেখা গেছে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা নদীতে গোসল করতো এবং গৃহস্থালি কাজে নদীর পানি ব্যবহার করতো। এছাড়াও শিশু, কিশোর-কিশোরী নদীতে আনন্দ উল্লাস করে সাতার কাটতো, ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ হতো। এই কচুরিপানার কারনে সব কিছুই বিলুপ্তি প্রায়।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২০ সালে তিতাস নদী পুনঃখননের কাজ শুরু করে শেষ ২৯২৪ সালে কিন্তু নদী খননের সুযোগে আওয়ামী লীগ নেতারা মেতে উঠেছিল বালু বিক্রির মহাউৎসবে। শত কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছে নদী খনন সিন্ডিকেট। স্থানীয়রা আরো জানায় নদীতে কচুরিপানার আবদ্ধতার কারনে নদীর পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাদের দাবি প্রশাসনের উদ্যোগে তিতাস নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণ করা হলে নদীর পাড়ের মানুষের অনেক উপকার হবে এবং নৌযান চলাচলে সুবিধা হবে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বলেন, তিতাস অধিনস্ত ঢোলভাঙ্গা নদী পুনঃখনন প্রকল্পের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ তারা তাদের মতো কাজ করছে।
পৌর এলাকার কচুড়িপানা পরিষ্কার করতে পৌরসভা থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অন্যান্য অঞ্চলের কচুড়িপানা পরিস্কার করতে হলে স্থানীয়রা উদ্যোগ নিতে হবে অথবা ইউনিয়ন পরিষদের যদি ফান্ড থাকে তাহলে ওই ফান্ড থেকে টাকা ব্যয় করে পরিস্কার করা যেতে পারে।
কেকে/এআর