ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামের কুয়েত ফেরত প্রবাসী বাবুল মাতুব্বরের বাড়িতে দেড় বছরের শিশুকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করেছে। এ ঘটনায় ডাকাত দলের সদস্যরা ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ দেড়লাখ টাকাসহ ঘরের মালামাল লুটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

শনিবার (৫ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রোববার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সোমবার  ভুক্তভোগী পরিবারটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে।  

ডাকাতির ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন। পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৪টার দিকে সংবদ্ধ ১০ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাত দল বাবুল মাতুব্বরের ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ঘুমন্ত নারী ও পুরুষের ওপর ধারালো অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে।

এ সময় পরিবারের সদস্যরা হতভম্ব হয়ে ওঠে। তারা কিছু বুঝে উঠার আগেই দেড় বছরের শিশু আনিশাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতেরা নগদ অর্থসহ ঘরের মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাত দলের অস্ত্রের আঘাতে গৃহকর্তা বাবুল মাতুব্বর,তার স্ত্রী রোজিনা বেগম, মেয়ে শ্রাবন্তী ও শিশু আনিশা আহত হয়।

 প্রতিবেশী আনোয়ার মাতুব্বর বলেন, ভোর রাতে বাবুল মাতুব্বরের বাড়িতে ডাকাত ডাকাত চিৎকার শুনে তারা এগিয়ে এসে বাড়িতে চলে আসে। গৃহবধূ রোজিনা বেগম বলেন, বাড়ির সবাই তখন ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় ডাকাতদল দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে  ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর আঘাত করে।

এ সময় আমার চিৎকারে ঘরের অন্য সবার ঘুম ভেঙে গেলেও শিশু নাতিনের ওপর ডাকাতেরা অস্ত্র ধরে রেখে টাকাসহ ঘরের মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। ডাকাত দল বয়োবৃদ্ধ মহিলা রোজিনা বেগমকে অমানুষিকভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

কেকে/এএস