ইসরায়েলের হামলার জাবাবে দেশটির বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়েছে ইরান। এসব হামলায় অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তেহরান। ফলে একাধিক শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ছবি উঠে এসেছে। ইরানের ভয়াবহ হামলার পর ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ বলেছেন, দেশটি একটি ‘খুবই দুঃখজনক এবং কঠিন সকাল’ পার করেছে।
শনিবার (১৪ জুন) ও রোববার (১৫ জুন) সকালে চলা ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত এবং প্রায় ৩০০ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম।
এই ঘটনাকে ‘অপরাধমূলক ইরানি হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করে হার্জোগ এক্সে-এ একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘গত রাতে বাত ইয়াম, তামরা এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের বেসামরিক জনগণের ওপর ইরানের অপরাধমূলক হামলায় আমাদের বোন ও ভাইদের হত্যা ও আহত করা হয়েছে। ইহুদি ও আরব, প্রবীণ নাগরিক এবং নতুন অভিবাসী, যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষরাও আছেন।’
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি পরিবারের তীব্র শোকের সঙ্গে অংশীদার এবং ভয়াবহ ক্ষতির জন্য শোক প্রকাশ করছি। আহতদের আরোগ্য এবং নিখোঁজদের খুঁজে বের করার জন্য আমি প্রার্থনা করছি। আমরা একসঙ্গে শোক করব। আমরা একসঙ্গে কাটিয়ে উঠব।’
এদিকে উত্তর ইসরায়েলে রাতারাতি ইরানি হামলায় নিহত চারজনের নাম এবং ছবি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে একজন বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয় ছাড়া বসবাসের ভয়াবহতার বর্ণনা দিয়েছেন। ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি শহর তামরায় একটি আবাসিক ভবনে হামলার পর এ চারজন নিহত হয়েছেন। আর মধ্য ইসরায়েলে পৃথক হামলায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের নাগরিক অধিকার সমিতির মতে, দেশের উত্তরে অনেক ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি শহরে ‘জনসাধারণের আশ্রয়স্থল, সুরক্ষিত এলাকা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয়স্থলের অভাব রয়েছে।’
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
কেকে/এএস