মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫,
৩ আষাঢ় ১৪৩২
বাংলা English

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
শিরোনাম: মুশফিক-শান্তর ফিফটিতে স্বস্তিতে বাংলাদেশ      জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ছে না: অর্থ উপদেষ্টা      সচিবালয়ে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত      পোশাক খাতে নতুন চ্যালেঞ্জ      ভোটের আগেই হচ্ছে বৃহত্তর ইসলামি ঐক্য      তেল আবিব ও হাইফায় নতুন ধাপে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইরান      ৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস      
গ্রামবাংলা
ভুয়া কবিরাজ সরকারি কলেজের প্রভাষক উজ্জ্বল
অন্যের নামের ভুয়া লাইসেন্সে মেয়াদ বিহীন ঔষধ বাজারজাত
আফজাল হোসেন চাঁদ, বাঘারপাড়া (যশোর)
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১:২০ পিএম
ছবি : প্রতিনিধি

ছবি : প্রতিনিধি

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ভুয়া কবিরাজ হলেন মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সিংড়া গ্রামের বিহারীলাল শিকদার সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস। তিনি খাজুরা বাজার সংলগ্ন বাঘারপাড়া উপজেলার তেলিধান্যপুড়া গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস প্রায় ২৪বছর পূর্বে থেকে মাগুরার বিহারীলাল শিকদার সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তারই মধ্যে তিনি অসাধু উপয়ে অধিক অর্থ উপার্জন করার জন্য তারই আপন চাচাত ভাই মৃত. নিতাই চন্দ্র মিত্রের ছেলে কবিরাজ ডা. শ্যামল মিত্রের ‘চন্দ্রা সেবা সনদ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের হাল ধরে সাধারণ মানুয়ের সাথে প্রত্যারণা শুরু করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে শ্যামল মিত্র তার নামের সাথে বাংলাদেশ দেশিয় চিকিৎসক সমিতি, ষ্টেট কাউন্সিল অব ইউনানী মেডিনির কলিকাতার সদস্য ও বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন চ্যানেলের কণ্ঠশিল্পীর ডিগ্রী ব্যবহার করে শ্বাসকষ্ট/হাঁপানী/ ব্রঙ্কাইটিস/হাঁচি, এলার্জি (আমবাত), কন্ঠ সূধা চূর্ণ, ডায়াবেটিস মুক্তি চূর্ণ ও যৌন দূর্বলতা মুক্তির বিষয়ে নিজের তৈরি ঔষধ দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে চিকিৎসা করত।

হঠাৎ করে স্থানীয় ভাবে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কারণে ২০২২ সালে বাঘারপাড়া উপজেলার তেলিধান্যপুড়া গ্রামে তার নিজের জমাজমি ও বাড়িঘর বিক্রয় করে ভারতের চলে যেতে বাধ্য হন। বর্তমানে সেখানে বসবাস করছেন। আর তারই জমি ও বাড়ি চাচতো ভাই প্রভাষক উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস ক্রয় করে নিয়ে বর্তমানে শ্যামল মিত্রের চন্দ্রা সেবা সনদ’র নাম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রত্যারণা শুরু করেছে। তার এই প্রত্যারণার মূলশক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কিছু সুযোগ সন্ধানী দালাল চক্রের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ার সর্ভিসের মাধ্যমে উৎপাদনের মেয়াদ বিহীন প্যাকেট পাঠিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে নিজের পকেট ভর্তির তালে ব্যস্ত রয়েছেন ভুয়া কবিরাজ ও সিংড়া গ্রামের বিহারীলাল শিকদার সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস।

এছাড়াও তিনিও তার চাচাতো ভাইয়ের মতো দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়।

তাদের প্রতিষ্ঠান চন্দ্রা সেবা সনদ নামে নেই কোন ড্রাগ তৈরি ও বিক্রয়ের লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স। বাড়ির মধ্যে কোম্পানী তৈরি করে খোলা মেলা পরিবেশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঔষধ তৈরি বাজারজাতকরণ করছেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, তারা হলেন এলাকার মধ্যে ক্ষমতাধারী যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন কথা বলতে সাহস পায় না। সম্ভবত তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিয়ে এই কাজ পরিচালানা করেন।

ভুয়া কবিরাজ, বিহারীলাল শিকদার সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস বলেন, এটা আমার চাচাতো দাদার লাইসেন্স এ আমি তার পরামর্শের উপর তৈরি করে বিক্রয় করি। সংবাদকর্মীরা তাদের নিকট ঔষধ তৈরির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, আছে। কিন্তু দাদা কনে রেখে গেছে খুজে পাচ্ছি না। প্যাকেটের গায়ে উৎপাদনের মেয়াদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসলে কবিরাজী যে মাল এটা নষ্ট হওয়ার কোন কথা নেই। কারণ গাছ-গাছরার ঔষুধ তো। এটা যদি পচে না যায় তাহলে কোন সমস্যা নেই। যাদের নিকট এটা পাঠানো হয় তাদেরকে বলে দিলে তারাতারি প্যাকেট শেষ করে ফেলবে।

বিহারীলাল শিকদার সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পার্থ ঘোষ বলেন, তিনি যে কবিরাজী করে আমি সেটা জানতাম না। আমি তার নিকট বিষয়টি যেনে আপনাকে জানাচ্ছি। পরবর্তীতে তিনি তার নিকট থেকে জেনে বলেন, তিনি কবিরাজী করেন এটা সত্য। তবে কাগজপত্র ব্যতিত এমন কাজ করা তার ঠিক হচ্ছে না।

বাংলাদেশ ভেষজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাকীম মুফইত ফিরোজ শাহ্ বলেন, যারা এমন কাজ করছে তাদের ঔষধ উৎপাদনের লাইসেন্স, মেয়াদ ও ভালো স্থান থাকতে হবে। তারপর ঔষধ বাজারজাত করতে পারবে। কিছু অস্বাধু ব্যবসায়ীদের কারণে আমাদের মত রেজিষ্ট্রিকৃত হাকিমদের বদনাম হয়। এই বিষয়টি নিয়ে আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. অরূপ জ্যোতি ঘোষ বলেন, যে বা যারা ঔষধ তৈরি করবে, তাদের ঔষধ প্রশাসন থেকে অনুমোদন লাগবে। ঔষধ উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ থাকতে হবে। আর তাদের কাগজপত্র সংক্রান্ত যদি কোন জটিলতা থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদনের দায়ে ৩ বেকারিকে জরিমানা
মুশফিক-শান্তর ফিফটিতে স্বস্তিতে বাংলাদেশ
ঈশ্বরগঞ্জে গরু-ছাগল ও বসতঘর লুটপাট
টঙ্গী মাজার বস্তিতে যৌথ অভিযান, গ্রেফতার ২৪
জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ছে না: অর্থ উপদেষ্টা

সর্বাধিক পঠিত

আক্কেলপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অফিস সহকারীর মৃত্যু
লালপুরে আ.লীগ নেতা মঞ্জু হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
আগামী নির্বাচন হবে প্রতিযোগিতামূলক: পলাশ
‘অভিযোগ প্রমাণের আগে পাবলিক ট্রায়াল দুদকের কাজ হতে পারে না’
বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছি, এখন মানুষকে সেবা দিতে চাই : ডা. আব্দুর রাজ্জাক

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close