১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা থেকে বাদ পড়া চাকরিপ্রত্যাশীরা ফলাফল পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিরপেক্ষতা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাত দফা দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়াও দাবি আদায় না হলে রোববার (১৫ জুন) এনটিআরসিএ ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ভাইভা বঞ্চিতরা।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এমন হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ভাইভা বঞ্চিতদের অভিযোগ, প্রায় ২৩ হাজার ভাইভা বঞ্চিত প্রার্থী বৈষম্য-জুলুমের শিকার। অনেকেই সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার পরও ফেল করেছেন। এজন্য সব বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি ফলাফল পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
ভাইভা বঞ্চিতদের দাবিগুলো হলো-
১) ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা প্রার্থীদের ফলাফল পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।
২) কিছু বোর্ডে ৩০ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে মাত্র একজন পাশ করেছেন, আবার কিছু বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে, এত বৈষম্য কেন? এসব সমস্যা সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।
৩) গত ১৬তম এবং ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা পরীক্ষায় পাশের হার যথাক্রমে ৯২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৯৫ দশমিক ২ শতাংশ, যা ১৮তম পরীক্ষায় মাত্র ৭২ শতাংশ (যেখানে শূন্যপদ ১ লাখ ১০ হাজারের উপরে সেখানে পাশ মাত্র ৬০ হাজার)। এমনকি আরবি প্রভাষক এবং সমাজ বিজ্ঞান প্রভাষকের ভাইভা পরীক্ষায় পাশের হার যথাক্রমে মাত্র ৫৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ৫২ দশমিক ১ শতাংশ। গত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কম কেন? সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।
৪) এ বছর লিখিত পরীক্ষা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কঠিন ছিল এবং প্রশ্নের মধ্যে কোনো বিকল্প অপশন ছিল না, সুতরাং সব ভাইভা পরীক্ষা প্রার্থী শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
৫) বিগত বছরের পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে এবারের পরীক্ষার এই ধরনের বিস্তর তারতম্য ফলাফলের নিরপেক্ষতা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা নিরসনের দাবি জানাচ্ছি।
৬) ফলাফল প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অসংগতি হয়েছে কি না, তা সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।
৭) ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষার ভাইভা ফলাফল যথাযথভাবে পুনরায় পর্যালোচনা করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এসব দাবি পূরণ না হলে আগামী রোববার (১৫ জুন) এনটিআরসিএ ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পাললের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ভাইভা বঞ্চিতরা।
কেকে/এজে