মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলের মতো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাতেও ঈদুল আজহা ছিল ৬ জুন। তার পরের দিন ৭ জুন ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে উপত্যকাজুড়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরো প্রায় ১০০ জন। শহরের একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। খবর আল-জাজিরার।
রোববার (৮ জুন) গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগসূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল বলেন, শনিবার গাজা শহরের সাবরা এলাকার একটি বাড়িতে বোমা হামলার আগে ইসরায়েলি বাহিনী কোনও সতর্কবার্তা দেয়নি। এতে সেখানে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। আরও ৮৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে থাকা শরণার্থী হামেদ কেহিল বলেন, আমরা রাতে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার, আর পাথরের আঘাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ি। চোখের সামনে দেখতে পাই ধ্বংসযজ্ঞ। ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, এটাই আমাদের জীবনের ঘটনা। আমরা বাচ্চাদের ঈদে আনন্দ বা সাজসজ্জার পরিবর্তে জেগে উঠি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নারী ও শিশুদের মরদেহ বহন করার জন্য।
এদিকে গাজার দক্ষিণে অবরুদ্ধ খান ইউনিসে আল-আমাল হাসপাতাল এখন ‘পৌঁছানোর অযোগ্য’ বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট। তারা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী আশপাশের এলাকাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে ঘোষণা করে সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কেকে/ এমএস