টানা বর্ষণে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ভেঙে পড়েছে। কোথাও কোথাও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সামনে ঈদুল আযহা থাকায় জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার ওমরাকান্দা, লক্ষীপুর, রামপুর, মানিকারচর, রাধানগর, মুগারচর, শিবনগর, চন্দনপুর, জয়পুর, সেননগর, আলীপুর, বড়াকান্দা ও জলারপাড় এইসব উল্লেখযোগ্য এলাকাসহ আরো অনেক স্থানে সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাকা ও কাঁচা উভয় ধরনের সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (১ জুন) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ওমরাকান্দা ব্রিজের পূর্ব পাশে লক্ষীপুর সড়কের প্রায় ১০০ গজ দূরে পাকা রাস্তার একাংশ ধসে পড়েছে। ব্রিজের এপ্রোচ অংশও ঝুঁকিতে আছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতাধীন এই সড়কটি আরেক দফা ভারী বৃষ্টি হলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। রামপুর, মানিকারচর ও শিবনগর সড়কে ভাঙা অংশে কিছু এলাকায় মেরামতকাজ শুরু হলেও বৃষ্টি থামছে না বলে কাজ ব্যাহত হচ্ছে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ভাটেরচর রাস্তার ৮০ মিটার হতে সেননগর-আলীপুর সংযোগ সড়কের অনেক অংশই ধসে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ। ঈদকে সামনে রেখে হাটবাজারে যাতায়াত কিংবা অ্যাম্বুলেন্স চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। অন্যদিকে চন্দনপুর থেকে মানিকারচর বাজারগামী একমাত্র সড়কে পূর্বপাড়া জামে মসজিদ ও জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা ভেঙে গিয়ে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বড়াকান্দার জলারপাড়ে কাঁচা রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, ২১ মে ভাউরখোলা-গবিন্দপুর-খিড়ারচক কদমতলা এলাকায় প্রথম ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে উপজেলা প্রকৌশলী তখন নিজে উপস্থিত থেকে মেরামতের উদ্যোগ নেন। পরে বৃষ্টিতে ফের সেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে গত শনিবার ব্রিক প্যালা ওয়াল দিয়ে টেকসই সংস্কার কাজ শুরুর কথা থাকলেও বৃষ্টির জন্য সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈদ সামনে রেখে এমন পরিস্থিতিতে যাতায়াতে দুর্ভোগ চরমে। হাটে যাওয়া, পশুবাহী যান চলাচল কিংবা রোগী পরিবহনের মতো জরুরি কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক খোলা কাগজকে বলেন, কয়েকটি ভাঙা সড়কে আমি নিজে গিয়ে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ শুরু করেছি। আরো কিছু স্থানের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বৃষ্টি কমলেই দ্রুত সব জায়গায় সংস্কার কাজ চালানো হবে বলে জানান তিনি।
কেকে/ এমএস