ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গাজীপুরের সবচেয়ে বড় গরুর হাট আমরাইদ বাজারে আজ মঙ্গলবার হাজারো গরু, মহিষ, ষাঁড় ও বলদ উঠলেও, দেখা যায়নি কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক ক্রেতা। রোদে পুড়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বিক্রেতাদের চোখে হতাশার ছাপ। কেউ কেউ দিনের শেষভাগে বিক্রির আশায় মাঠে অপেক্ষা করছেন।
সাপ্তাহিক এই হাট বসে প্রতি মঙ্গলবার। ঈদের আগে আরেকটি হাট বসবে বলে জানিয়েছেন ইজারাদার তৌকির সিকদার। তিনি বলেন, আমরা পাঁচজনে মিলে এই পশুর হাটের ইজারায় ৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। দূর থেকে আগত বিক্রেতাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটে ১৩টি কাউন্টারের মাধ্যমে খাজনা তোলা হচ্ছে।
রাজশাহী থেকে আসা মহিষ ব্যবসায়ী হারুণ মিয়া জানান, দুই দিন হলো বাজারে এসেছি, সঙ্গে আছে ৬০টি মহিষ। এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। প্রতিদিন খরচ অনেক, তাই বিক্রি করতেই হবে।
টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর থেকে আসা মনসুর আলী বলেন, আমার ২০০টি ষাঁড় ও বলদ আছে। বিভিন্ন জেলা ঘুরে এগুলো কিনেছি। জানতাম আমরাইদ বড় হাট, তবে আজকের বাজারে ক্রেতা কম।
দুই ঘণ্টা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরু দেখতে ভিড় করছেন প্রচুর দর্শনার্থী। তবে দরদাম করলেও বেশিরভাগই কিনছেন না। অনেক ক্রেতার অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি।
খাজনার হার
হাটে খাজনার হার নির্ধারণ করা হয়েছে—
মহিষ : ক্রেতা ১২০০ টাকা, বিক্রেতা ৩০০ টাকা।
ষাঁড় : ক্রেতা ৮০০ টাকা, বিক্রেতা ২০০ টাকা
ছাগল : ক্রেতা ৩০০ টাকা, বিক্রেতা ১০০ টাকা
গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নার্গিস খানম খোলা কাগজকে জানান, জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর প্রাপ্যতা রয়েছে ৯৪,৫৬১টি। তবে চাহিদা প্রায় ১,৩৭,২৭৮টি।
অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লিপি রানী বসাক বলেন, প্রতিটি বাজারে তিনজন করে মনিটরিং টিম দায়িত্ব পালন করছেন।
গাজীপুরের ১,৫৭৮টি খামারে বর্তমানে মোট ৮,০২,০৩৪টি গবাদি পশু রয়েছে বলে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।
কেকে/এএম