আসন্ন ঈদুল আজহার হাটে বাগেরহাটে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে ‘মধুমতি’ নামের বিশালদেহী একটি ষাঁড়। জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর গ্রামের খামারি মো. মিরাজ মিয়ার খামারে লালনপালন করা এই বারহামা জাতের ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা।
প্রায় ১০ ফুট লম্বা এবং ৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ‘মধুমতি’র ওজন এক হাজার কেজির মতো। প্রতিদিন তার খাদ্যের পেছনে গড়ে খরচ হয় এক হাজার টাকা। সম্পূর্ণ দেশীয় ও অর্গানিক খাদ্যেই বড় করে তোলা হয়েছে ষাঁড়টিকে।
মধুমতি নদীর পাশেই মিরাজ মিয়ার বাড়ি। সুঠাম গঠনের কারণে জন্মের পরই বাছুরটির নাম রাখা হয় ‘মধুমতি’। প্রায় সাড়ে তিন বছর বয়সেই এর ওজন ১ টনে পৌঁছে যায়। ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিনই মিরাজের খামারে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
খামারি মিরাজ মিয়া বলেন, প্রথমে শখ করে খামার শুরু করলেও এখন তা বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। ‘মধুমতি’ আমার খামারের সবচেয়ে বড় গরু। আশা করছি, ঈদ হাটে এর ভালো দাম পাব।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ছায়েব আলী বলেন, খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়। এবারের কোরবানির হাটে ‘মধুমতি’ জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৭ হাজার খামারে কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৮৫ হাজার ৪৮টি পশু। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ পর্যাপ্ত। তবে ‘মধুমতি’ নিঃসন্দেহে এবারের ঈদবাজারের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কেকে/এএম