পাবনার ফরিদপুরে তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রী মুন্নি খাতুনকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে হাসপাতালে পাঠালেন স্বামী লোকমান হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ছোট সাভার দহপাড়া গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিতা গৃহবধূর দাবি, রান্না করা তরকারি (মাংস) গরম করে না দেওয়ায় তাকে পিটিয়ে জখম করে স্বামী লোকমান হোসেন।
জানা গেছে, গত ১০ বছর আগে ফরিদপুরের লোকমান হোসেনের সঙ্গে ভাঙ্গুড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝি কলকতি গ্রামের মো. মনতাজ প্রামাণিকের মেয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই কারণে অকারণে গৃহবধূ মুন্নির সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। লোকমান ও মুন্নি দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় তরকারি (মাংস) রান্না করে গৃহবধূ মুন্নি। পর দিন সকালে সেই তরকারি গরম করে শিশুসন্তানের কাছে যান মুন্নি।
এ সময় লোকমান সেই তরকারি আবার গরম করে তার বাবাকে খেতে দিতে বলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মুন্নিকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর শুরু করে পাষণ্ড স্বামী লোকমান। এ সময় শ্বশুর আক্তার ছেলেকে লাঠি এগিয়ে দিলে মুন্নিকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে লোকমান। খবর পেয়ে মুন্নির স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মুন্নির পিতা মনতাজ প্রামাণিক বলেন, প্রায়ই মুন্নিকে মারধর করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বৃহস্পতিবার সকালে তুচ্ছ কারণেই স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করে ফেলে রাখে তারা। মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মেয়েকে এনে ভাঙ্গুড়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। রাতে ভাঙ্গুড়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ ফরিদপুর থানায় যেতে বলেন। আমার মেয়ের নির্যাতনের বিচার চাই।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, মুন্নির ডান চোখে ও দুই পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে অভিযুক্ত লোকমান হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসনাত জামান বলেন, এ ঘটনায় এখানো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/ এএস