দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পাথর উত্তোলনে একের পর এক রেকর্ড করে আলোর পথে হাটছে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের মাধ্যপাড়া পাথর খনি। লক্ষ্যমাত্রার অধিক পাথর উত্তোলনের ফলে প্রতিদিনের পাথর উত্তোলনে নতুন মাইল ফলক সৃষ্টি হয়েছে। এতে খনিটি এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে বলে মনে করছেন খনি কর্তৃপক্ষ।

খনি সুত্রে জানা গেছে, খনি কর্তৃপক্ষের সাথে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসির চুক্তি অনুযায়ী, যেখানে প্রতিদিনের পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিকটন, সেখানে প্রতিদিন পাথর উত্তোলন করছে ৬ হাজার টনেরও অধিক। ফলে পাথর উত্তোলনে নতুন মাইল ফলক সৃষ্টি হয়েছে ।

কয়েক বছর ধরে সর্বোচ্চ পাথর উত্তোলন করে নতুন মাসিক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। চলতি জানুয়ারী মাসের শুরু থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন দিন গড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টনের অধিক পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। মাসিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার অধিক পরিমানে পাথর উত্তোলনের ফলে উৎপাদানের অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে চলেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন খনিটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি।

জানা গেছে, খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি খনিটির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে একের পর এক নতুন রেকর্ড তৈরি করে চ‌লেছে। এর ফলে এক সময়ের লোকসানে থাকা খনিটি গত ৫ বছর থেকে টানা লাভজন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে।

জিটিসি বলছে, জিটিসি পাথর খনির দায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সরকারের উন্নয়নে অবদান রাখতে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে আর্থিক সংকটের মাঝেও রেকর্ড পরিমান পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। জিটিসির হাতে গড়া মাসিক ও দৈনিক পাথর উত্তোলনের এই সকল রেকর্ড খনির পাথর উত্তোলনের ইতিহাসে এক নতুন মাইল ফলক।

মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানী লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মুহাম্মদ ফরিদুজ্জামান বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা পাথর উত্তোলন বৃদ্ধি করতে পারে।