বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশনস ডিভিশনের (এফএসআর) উদ্যোগে দুই দিনের ইউএসওএপি অডিট সাপোর্ট ওয়ার্কশপ সম্পন্ন হয়েছে। কর্মশালাটি ২৩-২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় সার্কভুক্ত ৭টি দেশ তথা বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপ থেকে ৩২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
ইউএসওএপি হলো ইউনিভার্সাল সেফটি ওভারসাইট অডিট প্রোগ্রাম; যা আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা আইসাও কর্তৃক পরিচালিত একটি বৈশ্বিক বিমান নিরাপত্তা অডিট প্রোগ্রাম। এটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিমান নিরাপত্তা তদারকি সক্ষমতা মূল্যায়ন ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য পরিচালিত হয়।
কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল ইউএসওএপির মানদণ্ড অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা ও ব্যবহারিক জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের বিভিন্ন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের পেশাজীবীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংযোগ জোরদার করা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উড্ডয়ন নিরাপত্তা ও অডিট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। এতে বিভিন্ন দেশের ইউএসওএপি অডিট অভিজ্ঞতা ও সেখান থেকে পাওয়া শিক্ষণীয় দিক, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বিমান নিরাপত্তার আটটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান (ক্রিটিকাল এলিমেন্টস), রাষ্ট্রীয় বিমান কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রশ্নমালা (এসএএএকিউ) পূরণের প্রক্রিয়া, ইউএসওএপি প্রোটোকল প্রশ্নাবলীর (পিকিউস) তথ্য-প্রমাণ ওএলএফে আপলোড করার নিয়মসহ সাম্প্রতিক অডিটগুলোর সাধারণ ত্রুটি (কমন পিটফলস) ও উত্তম অনুশীলন (বেস্ট প্র্যাকটিসেস) বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন ও মতবিনিময় হয়। এসব আলোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ইউএসওএপি বাস্তবায়ন ও উড্ডয়ন নিরাপত্তা তদারকি সক্ষমতা আরও উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দিকনির্দেশনা লাভ করেন।
রোববার (১৩ নভেম্বর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যান্ড হেড অফ ডেলিগেশন অফ দ্য ইইউ টু বাংলাদেশ মাইকেল মিলার।
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে উড্ডয়ন নিরাপত্তায় সহযোগিতার একটি শক্তিশালী উদাহরণ হলো এই আয়োজন।’
তিনি উল্লেখ করেন, ইউ-সাউথ এশিয়া এভিয়েশন পার্টনারশিপ (ইইউ-সাউথ এশিয়া এপিপি) প্রকল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার বিমান নিরাপত্তা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আসন্ন ইউএসওএপি অডিটের প্রেক্ষিতে এই কর্মশালা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সময়োপযোগী। আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময় আমাদের কার্যকর বাস্তবায়ন সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।’
কর্মশালার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স) এয়ার কমডোর মো. মুকিত-উল-আলম মিঞা। এছাড়া চিফ কোঅর্ডিনেটর ছিলেন পরিচালক (এফএসআর অ্যান্ড আইএ) গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. মনিরুল ইসলাম।
কেকে/এমএ