আসছে শীত। হিমেল হাওয়ার রুক্ষভাব দেখা মিলছে প্রকৃতিতে। শীতের আগমনকে সামনে রেখে শরীরের নিতে হবে বাড়তি যত্ন। শীতে ত্বকের মতো চুলও রুক্ষ হয়ে পড়ে। আগে থেকে যত্ন নিলে শীতের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে থাকা যায়। চুলের খুশকি, রুক্ষ ভাব, জট পাকানো, চুলপড়াসহ নানা সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে। ভারী শীতেও চুল থাকবে ঝলমলে সুন্দর।
শীতের আগমনকে সামনে রেখে চুলের যত্নে যা করবেন-
চুল কেটে নিন
শীতের আগে অনেকে চুল কাটিয়ে নেন। অথবা সেভ করে নিতে পছন্দ করেন। শীতে বড় চুল মেইনটেন করা বেশ কঠিন। ছোট চুলে যত্ন নিতে সুবিধা, তাই চাইলে শীত আসার আগেই চুল কেটে ছোট করে নিতে পারেন।
গরম পানি নয়
শীত পড়তে না পড়তে অনেকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করা শুরু করেন। শরীরের ত্বকের জন্য হালকা গরম পানি উপকারী হলেও চুলের জন্য তা বেশ ক্ষতিকর। তাই সব সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে চুল ধোয়ার চেষ্টা করতে হবে। চুলের গোড়ায় গরম পানি পড়লে চুলের কিউটিকল ফুলে ওঠে। এরপর আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে চুল হয়ে যায় রুক্ষ।
চুল মোছায় সাবধানতা
গোসলের পর অনেকেই তোয়ালে দিয়ে ঘষে চুল মোছেন, ঠাণ্ডা লাগার ভয়ে তাড়াতাড়ি চুল শুকাতে চান। তাই বলে তোয়ালে দিয়ে জোরে জোরে চুল ঘষা যাবে না। এতে শুকানোর বদলে চুলের ক্ষতি হয় বেশি। গোসলের পর তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চুল মুছতে হবে। পরে বাতাসে চুল খোলা রেখে শুকিয়ে নেওয়া ভালো।
অতিরিক্ত আঁচড়াবেন না
অনেকে দিনে বেশ কয়েকবার চুল আঁচড়ান। চুল সুন্দর দেখানোর জন্য বারবার আঁচড়ানোর দরকার নেই। কারণ চিরুনির ঘষা লেগে চুলের গোড়া অনেক সময় আলগা হয়ে যেতে পারে। ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তাই প্রয়োজন ছাড়া চুল আঁচড়ানো উচিত নয়।
হেয়ার প্যাকে যত্ন
শীতে যেহেতু চুল বেশি পড়ে এবং চুলে খুশকির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তাই শীতের আগেই শীত মৌসুমের উপযোগী কিছু হেয়ারপ্যাক চুলে লাগিয়ে নিন। এতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। চুল ভালো রাখার পাশাপাশি মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে এবং খুশকি থেকে দূরে থাকতেও সাহায্য করবে এসব হেয়ার প্যাক।
চাই হেয়ার সিরাম
রোদে বাইরে গেলে ত্বকের সুরক্ষার জন্য যেমন আমরা সানস্ক্রিন ব্যবহার করি, তেমনি চুলের নানাবিধ সুরক্ষার জন্য চুলের সিরাম ব্যবহার করা উচিত। এতে চুল নরমও থাকে আবার বাইরের ধুলাবালি থেকে সুরক্ষিত থাকে। শীতে যেহেতু চুল শুষ্ক হয়ে যায়, তাই চুল সিল্কি ও নরম করার জন্য শীতের আগে থেকেই নিয়মিত সিরাম ব্যবহার করা উচিত।
তিন দিন তেল দিন
যেহেতু এই সময় চুল স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়, তাই ময়েশ্চারাইজারের বিশেষ প্রয়োজন হয়। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন তেল গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করতে পারেন। অথবা তেল মেখে সারা রাত রেখে সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন।
পুষ্টিকর খাবার
কথায় আছে আপনি যা খাবেন আপনার শরীর ঠিক তেমনই হবে। চুল ও ত্বক যা-ই বলেন না কেন, এগুলো সুস্থ-সুন্দর রাখতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। শীতের শুরুতেই প্রচুর শাক-সবজি বাজারে ওঠে, যা ত্বক ও শরীরের জন্য অনেক উপকারী। শীতে এগুলো খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।
কেকে/ এমএস