আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির সহায়তায় ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি দেশবিরোধী প্ল্যাটফর্ম সক্রিয় হয়েছে।‘মঞ্চ ৭১’ সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছে ‘মঞ্চ ২৪’। সংগঠনটির দাবি, এ বিষয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা সন্দেহজনক।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি আয়োজিত তাদের এক বৈঠকে আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান ও মুজিববাদী স্লোগান উচ্চারিত হয়েছে এবং জুলাই বিপ্লবীদের নিয়ে উপহাস করা হয়েছে।
মঞ্চ ২৪ অভিযোগ করেছে, মঞ্চ ৭১–এর আয়োজিত এক বৈঠকে আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান ও মুজিববাদী স্লোগান দেওয়া হয়েছে, যা সরাসরি জুলাই বিপ্লবীদের নিয়ে উপহাসের শামিল। সংগঠনটির মতে, এটি একটি ফ্যাসিবাদী প্ল্যাটফর্ম, যা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
তাদের দাবি, দেশবিরোধী এসব কার্যক্রমের খবর গোয়েন্দা সংস্থার আগে থেকেই জানা উচিত ছিল এবং তা বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সরকার ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে মঞ্চ ২৪ ‘সম্ভাব্য অনুমোদন’ হিসেবে দেখছে। সংগঠনটি সতর্ক করে বলেছে, প্রশাসনের অবহেলা দেশকে ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, মঞ্চ ২৪ ডিআরইউকে (ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি) আগেই সতর্ক করেছিল, কিন্তু সেই সতর্কতাকে উপেক্ষা করে মঞ্চ ৭১–এর বৈঠকের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের বক্তব্য প্রত্যাহার করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
এছাড়া মঞ্চ ২৪ বলেছে, চব্বিশের বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে যে-সব গণমাধ্যম কাজ করছে, বিশেষ করে চ্যানেল ওয়ানসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যদি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ না করে, তবে তারা ২০০৮ থেকে এ পর্যন্ত সংবাদ যাচাই করে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও গণমাধ্যম মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে ২ দাবিতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। দাবিগুলো হলো—
১. আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মঞ্চ ৭১–এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না নিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেবে মঞ্চ ২৪।
২. ডিআরইউ সভাপতি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা না চাইলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
একই সঙ্গে যেসব সাংবাদিক ও গণমাধ্যম জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী সংবাদ প্রকাশ করছে, তারা অবস্থান পরিবর্তন না করলে সাত দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির আহ্বায়ক ইকরামুল হাসান ফাহিম ফারুকী, সংগঠক কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ, ডিউক হুদাসহ অন্যান্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এএস