ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কান্ট্রি অফিস থাকা উচিৎ না। কারণ গাজায় গণহত্যা বন্ধে মানবাধিকার কমিশনের কোন কার্যকর ভূমিকা নেই।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকাল ৫টায় রাজধানী উত্তরের ভাটারাস্থ নগর উত্তর কার্যালয় অনুষ্ঠিত নিয়মিত পাক্ষিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতে সংখ্যালঘ মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর যুগের পর যুগ সীমাহীন বর্বরতা বন্ধে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ইরাককে ধ্বংসস্তূপ থেকে রক্ষা করতে পারেনি। জাতিসংঘের যেই মানবাধিকার কমিশন মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস হতে দিয়েছে, তথাকথিত সেই মানবাধিকার কমিশনের অফিস দিয়ে আমরা কি করব?
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, জনগণ তাদের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি করার ম্যান্ডেট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেয়নি। এই চুক্তি বাতিল না হলে দেশে আবার একটি জুলাই হবে।
ফজলে বারী মাসউদ আরও বলেন, বাংলাদেশে পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য এই অফিস। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নোংরা জিও পলিটিক্স এর শিকার হবে।
“জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন পৃথিবীর কোন মুসলিম রাষ্ট্রে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারেনি। বিগত অর্ধ শতাব্দীর ইতিহাস প্রমাণ করে মানবাধিকার বিষয়ক কান্ট্রি অফিস কখনো মুসলিম উম্মাহর উপকারে আসেনি। ইরাক, ইরান, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন, ইয়েমেন, ভারত, আফগানিস্তানসহ অনান্য মুসলিমদের ওপর যখন পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসরাইল অন্যায়ভাবে জুলুম অত্যাচার, হামলা করেছে এবং আজও হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বরং সেখান মুসলিমদের নিধন করার পক্ষে কথা বলে। সেই ব্যর্থ মানবাধিকার কমিশনের অফিস ঢাকায় হবে; আর আমরা তা সহ্য করবো—এটা হয় না।”
অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতী মো. মাছউদুর রহমান, মুফতী নিজামুদ্দিন, আলহাজ্ব আলাউদ্দিন, মাসুম বিল্লাহ, মুফতী আরমান হোসাইন, মুফতি হাবিবুল্লাহ, নাজমুল হাসান।
কেকে/ এজে