উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬ জনের মরদেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান।
তিনি আরো জানান, নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু, বাকি দুইজনের মধ্যে একজন পাইলট, অপরজন শিক্ষিকা। এ পর্যন্ত ২০টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৮ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এছাড়া বার্ন ইউনিটে দুইজন ভেন্টিলেশনে আছে।
এ সময় দগ্ধ শিশুদের জন্য সবার কাছে দোয়া চান ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি হাসপাতালে ভিড় না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। রক্তের জন্য পর্যাপ্ত ডোনার আছে বলেও জানান তিনি। নেগেটিভ গ্রুপের কিছু রক্ত লাগলে পরবর্তীতে জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কেকে/এআর