রাজধানী ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে যে ভবনটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, সেই ভবনে তখন স্কুলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল বলে জানা গেছে।
জুনিয়র সেকশনের ওই ভবনে নার্সারি, ওয়ান, টু, থ্রি—এসব শ্রেণির ক্লাস হয়। বিমানটি সরাসরি ভবনে এসে পড়ে। ভবনটিতে ১০০ থেকে ১৫০ শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া, স্কুল শাখায় তখন নার্সারি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলমান ছিল। স্কুল ছুটির আগ মুহূর্ত বা ছুটি হবে হবে, এরকম সময়ে এই দুর্ঘটনাট ঘটেছে।
হঠাৎ বিকট শব্দে বিমানটি ভেঙে পড়লে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন অভিভাবকরাও।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্ততর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি দুপুর ১টা ৭ মিনিটে উড্ডয়ন করে।
বিমানটি আকাশে ১৩ মিনিটের মতো উড্ডয়ন করে বলে জানা যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যরা সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। ভবনের অন্যান্য ফ্লোর থেকে বাচ্চাদের বের করে আনা হচ্ছে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর, পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এ দুর্ঘটনার শিকার অনেক শিক্ষার্থীকে ইতোমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেছেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৬০ জন ভর্তি করা হয়েছে। আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তারপর আরো রোগী আসলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে।
এ ছাড়া, উত্তরা আধুনিক মেডিকেলে ৬০ জনের অধিক আহতকে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কেকে/এএম