সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগ ও কুরবানির শিক্ষা নিয়ে প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এই উৎসব উদযাপন করা হয়।
শনিবার (৭ জুন) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। পশু কুরবানির মধ্য দিয়ে দিনটিতে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, প্রতিবছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় এবং দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও শেষ জামাত পর্যায়ক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, চার হাজার বছর আগে মুসলমানদের আদি পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হন সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কুরবানি করার। আল্লাহ তাআলা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে তার প্রিয় বস্তু কুরবানি করার নির্দেশ দেন। এরপর হজরত ইব্রাহিম তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কুরবানি দেওয়ার জন্য নিয়ে যান। এর মাধ্যমে তিনি আল্লাহর প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য প্রদর্শন করেন। এসময় আল্লাহর নির্দেশে ইসমাইলের বদলে সেখানে একটি দুম্বা কুরবানি হয়।
ঈদের পরের দু’দিনও পশু কুরবানি করার সুযোগ আছে। আগামী সোমবার আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত কুরবানি করা যাবে। সামর্থ্যবানদের জন্য কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব। কুরবানির পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ বিলিয়ে দিতে হয় গরিব-মিসকিনকে। আত্মীয়দের দিতে হবে এক ভাগ।
কেকে/ এমএস