রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় বাড়ির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন—সোনিয়া, আসলাম, মো. মিরাজ, আনোয়ার ও সুজায়েত মোল্লাসহ আরো অনেকে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে, নবীনগর হাউজিংয়ের ১০ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় বাড়ির বাসিন্দা ও মালিক দাবিদার কোরবান আলী মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি জানান, এই বাড়ির মূল মালিক আমার বাবা, যিনি প্রায় ১৬ বছর আগে প্লটটি ক্রয় করেন। এরপর আমরা তিন ভাই ও এক বোন মিলে এখানে বসবাস করছি। আমার এক ভাই সাংবাদিক, অন্যজনের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান রয়েছে। হামলাকারীরা দোকান থেকেও সিলিন্ডার লুট করে নিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, গত এক বছর ধরে একাধিক গ্রুপ আমাদের বাড়ি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সর্বশেষ ৫ আগস্টের পর এ পর্যন্ত অন্তত দুইবার এমন দখলের চেষ্টা হয়েছে। গতকাল সুজায়েত মোল্লা নামে একজন ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে এসে আমাদের ভাড়াটিয়াদের মারধর করে, দোকানে হামলা চালায় এবং মালামাল লুট করে।
কোরবান আলীর ভাষ্যমতে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চলতি বছরের মার্চ মাসে আদালতে একটি মামলা হয়, যেখানে ১৪৫ ধারা জারি করে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, হামলাকারীরা আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সাইনবোর্ড পর্যন্ত খুলে ফেলে এবং জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়।
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও ভাড়াটিয়ারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, এবং হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, নবীনগর হাউজিং এলাকায় একটি বাড়ির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বিতর্কিত ওই প্লট নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। সেখানে ১৪৫ ধারা অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ রয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম