বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সামনের দিনগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনগুলোতে আমাদের আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
সোমবার (১২ মে) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ রাজিবপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ১নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের লড়াই সংগ্রাম কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। আমরা মনে করছি, দেশ গড়তে হলে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে হবে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে হলে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এসময় এ্যানি বলেন, আমরা শাহবাগ ও যমুনায় কিছু স্লোগান লক্ষ্য করেছি- স্বল্প সংখ্যক লোকের সেই স্লোগান আমাদের ব্যথিত করেছে, মনে দাগ কেটেছে। শাহবাগ ও যমুনায় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারতো কিন্তু সেই শাহবাগে যদি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা আসে, বিএনপিকে নিয়ে কেউ কেউ ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয়, গোলাম আজমের বাংলায় এসব কথা বলে তা কিন্তু হয় না।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করেছি কিন্তু কেন কী কারণে শাহবাগে কারো কারো উপস্থিতিতে এ ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়েছে, তারা আসলে কী চায়, কাদের মধ্যে দেশপ্রেম আছে কি না তা বিচার-বিশ্লেষণের সময় কিন্তু এখন। তাদের শুভ বুদ্ধি উদয় হওয়ার প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, দেশের জন্য লড়াই সংগ্রাম করবো, গণতন্ত্র আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। জনগণের সরকার আমাদের প্রয়োজন। কারণ, জনগণের সরকারেই আস্থা, বিশ্বাস ও স্থিতিশীলতা। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল, বিএনপির মধ্যে কোনো ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারী শাসন ও কর্তৃত্ববাদী শাসন ছিল না। তাই এখনো সময় আছে আসুন- আমরা সবাই দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ থাকি।
এ্যানি বলেন, মানুষ এখন আর বারবার মিছিল করবে, মিটিং করবে এটা পছন্দ করে না। মানুষ আন্দোলন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন দেশ গড়তে চায়। মানুষ এখন দেশের কথা চিন্তা করে। তাই আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, দেশটাকে গড়ি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মধ্যে কোনো ফ্যাসিবাদ ছিল না, বিএনপির মধ্যে কোনো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ছিল না, এক ব্যক্তির শাসন ছিল না, স্বৈরাচারী শাসন ছিল না। বিএনপি সেই দল সবাইকে নিয়ে দেশ চালিয়েছে। আগামীতেও বিএনপি সবাইকে নিয়ে চিন্তা করছে। তার প্রমাণ ৩১ দফা।
এসময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ ও এমরান হোসেন প্রমুখ।
কেকে/এজে