রাজারবাগে আয়োজিত ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’-এর বিশেষ আলোচনা সভায় বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, পুলিশের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে, আর এ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হওয়া জরুরি। এ সময় তিনি বলেন, পুলিশ শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ নয়, সমাজেরও অংশ। তাদের অবস্থান যেটা হওয়ার কথা ছিল, সেটায় নেই— এর মূলে রয়েছে আইনগত জটিলতা ও রাষ্ট্রের সঙ্গে জনতার বিভক্তি।
বৃহস্পতিবার (১ মে) অনুষ্ঠিত ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ শীর্ষক আলোচনায় ড. খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, এই বিভাজনের মূল সমাধান গণতন্ত্র। রাষ্ট্র যদি জনতার প্রতিনিধি না হয়, তাহলে পুলিশ আর জনতার সম্পর্ক কখনো মজবুত হতে পারে না।
আলোচনায় সাবেক আইজিপি আবদুল কায়ুম বলেন, স্বাধীনতার পর জনগণের অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়নে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। গত ১৫ বছরে প্রশাসন ভেঙে পড়েছে, রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ দারোয়ানে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্র থাকলে সেই ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে, যা গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ছিল না।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা পুলিশ সংস্কার কমিশনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ১৮৬১ সালের পুরোনো পুলিশ আইন এখনো বলবৎ— যেখানে সংস্কারের কথা বলা হলেও বাস্তব পদক্ষেপ নেই। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব নয়।
আলোচনায় আরো অংশ নেন নিউ এইজের সম্পাদক নুরুল হুদা, কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সায়মা চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ করিম, খেলোয়াড় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরাও। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুল।
কেকে/এএম