ঢাকা, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ | ২৩ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাল্টাপাল্টি আইনি নোটিশের পর দুই অভিনেত্রীর সমঝোতা

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৪

পাল্টাপাল্টি আইনি নোটিশের পর দুই অভিনেত্রীর সমঝোতা

এরপরই মানহানিকর মন্তব্যর অভিযোগে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া এবং দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মিষ্টিকে (মিষ্টি জান্নাত) আইনি নোটিশ দেন মির্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমা (তমা মির্জা)।

যে নোটিশে সামাজিক মাধ্যমে থাকা দুটি ভিডিও বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আপনার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করবো না, তমা মির্জাকে খোঁচা দিয়ে মিষ্টি জান্নাত এবং .....নায়িকা হয়েছে তমা মীর্জা : জান্নাত শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী।

নোটিশে বলা হয়, এ সব বক্তব্যে সাংবাদিক ও দেশের জনগণের কাছে তার (তমা মির্জার) সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ ধরণের বক্তব্য তমার চরিত্র ও ব্যক্তিত্বে আঘাত হেনেছে। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে ডিজিটাল মিডিয়ায় এসব মানহানিকর বক্তব্য হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এতে ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।

এরই জবাবে তমার দেওয়া নোটিশকে অসত্য উল্লেখ করে তা প্রত্যাহার এবং তিন দিনের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পাল্টা নোটিশ পাঠান মিষ্টি জান্নাত। অন্যথায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।

দুই নায়িকার এই কোন্দল জল ঘোলা হওয়ার আগেই সমাধান করল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে শিল্পী সমিতির উদ্যোগে তমা-মিষ্টির বিবাদ সমঝোতা করা হয়েছে। এসময় তমা মির্জা ও মিষ্টি জান্নাত দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। তাদের পাশে ছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।

নিজেদের দ্বন্দ্ব ভুলে এদিন তমা বলেন, ‘মিষ্টি আমার ছোট বোন, তার ভুল আমি ক্ষমা করেছি। আমরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল তাই আমরা আমাদের সংগঠন শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে বসে আমাদের দুইজনের সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান করেছি।

তমার সঙ্গে সুর মিলিয়ে মিষ্টি জান্নাত বলেন, আমাদের মধ্যে কিছুটা ভুল ভ্রান্তি হয়েছিল। সেই বিষয়ে আমিও ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে সমঝোতা করলাম।

দুই নায়িকার দ্বন্দ্ব সমাধানে বড় ভূমিকা পালন করেছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, তমা মির্জা ও মিষ্টি জান্নাত দুজনেই বুঝতে পেরেছে বিষয়টি করা উচিৎ হয়নি। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আজ শিল্পী সমিতি তাদের বিষয়টি সমাধান করেছে। দিন শেষে আমরা সবাই শিল্পী। আমরা এক পরিবারের সদস্য। সবাই আনন্দ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারাটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।

 
Electronic Paper