আবারও শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র নামিয়ে দিলো ছাত্রলীগ
রাবি প্রতিনিধি
🕐 ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৪
![আবারও শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র নামিয়ে দিলো ছাত্রলীগ](https://www.kholakagojbd.com/media/main/2025/01/112_2.jpg)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)আবারও আবাসিক হল থেকে এক শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার (১৮ মে) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪০২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে শুক্রবার (১৯ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামক ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. কুদ্দুস আলী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন : বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. ফজলে রাব্বি ও তার অন্তত ৮/১০ জন অনুসারী। তাঁরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী।
ফেসবুক পোস্টে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একজন অনাবাসিক ছাত্র। বিভাগের বড় ভাইয়ের নামে বরাদ্দকৃত ৪০২ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। এর মাঝে আবাসিকতার জন্য হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করেন। প্রাধ্যক্ষ আবেদন গ্রহণ করে তাকে ওই সিটে থাকতে বলেন। আগামী মাসে বিভাগের ওই বড় ভাই ক্যাম্পাসে এসে সিট বাতিল করলে তার ওই সিটে ওঠার কথা ছিল। তবে গতকাল রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী এসে তাকে জোর করে সিট থেকে নামিয়ে দিয়ে অন্য একজনকে উঠিয়ে দেয়।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী কুদ্দুস ইসলাম বলেন, আমি ফেসবুক পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছি। বিভাগের শিক্ষকেরা এই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এই ব্যাপারে দ্রুতই সমাধান করা হবে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ফজলে রাব্বি বলেন, কুদ্দুস ইসলাম যে সিটে উঠতে চেয়েছিলো সেই সিটে সে সহ আরও একজন থাকতো। তারা আমার কাছে সমাধান চাইতে আসলে আমি তাদেরকে বলি, এ ব্যাপারে হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের এই ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। এরপর তারা দুইজন চলে যায়। বিছানাপত্র নামিয়ে দেয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাব্বি বলেন, এর সাথে ছাত্রলীগ বা আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ অভিযোগ সম্পর্কে জানলেও ফোনে এই ব্যাপারে বলবেন না জানিয়ে বলেন, আমি এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তারপর কথা বলবো। আর ফোনে আমি কোনো কথা বলবো না। দেখা করার জন্য সময় জানতে চাইলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত নই। দ্রুতই এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](https://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)