ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জায়গা দখলের অপচেষ্টা রুখতে গিয়ে বৃদ্ধসহ আহত ৪

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৪

জায়গা দখলের অপচেষ্টা রুখতে গিয়ে বৃদ্ধসহ আহত ৪

কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে বসতভিটার জায়গা দখলের চেষ্টায় সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এসময় বাধা দিতে গেলে জবর-দখলকারীর হামলায় ৮০ বছরের বৃদ্ধসহ চারজনকে বেধড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার দেয়া হয়েছে।

 

কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের ১নম্বর ওয়ার্ডের এমইউপি এনামুল হক হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডস্থ বারআউলিয়া নগর এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।

হামলায় আহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র বয়োবৃদ্ধ সুরুত আলী (৭৯), তার তিন সন্তান মাহমুদুল করিম (৩৬), মিনহাজ উদ্দিন (৩২) ও জাহেদুল ইসলাম (২৮)।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডস্থ বারআউলিয়া নগর এলাকায় মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র বয়োবৃদ্ধ সুরুত আলী দীর্ঘদিনের তার ভোগদখলীয় বসতভিটার জায়গায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসতি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছেন। তার বসতভিটার জায়গায় বুধবার সকালের দিকে অতর্কিত ভাবে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্যারচর ছিকলঘাটের শামসুল আলমের ছেলে পৌরসভার কর্মচারী হায়দার আলী ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে তার নেতৃত্বে মুরাদ আলী, কোরবান আলী ও ফোরকানুল ইসলামসহ ৫-৬ জন দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রনিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বসতভিটার জায়গা দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে সাইনবোর্ড স্থাপনা করে। এতে বাঁধা দিতে গেলে তারা সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। ওইসময় তাদের হামলায় বয়োবৃদ্ধ সুরুত আলীসহ তার তিন সন্তান মাহমুদুল করিম, মিনহাজ উদ্দিন ও জাহেদুল ইসলামকে বেধড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এ হামলা ও মারধরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগী বয়োবৃদ্ধ সুরুত আলী জানান।

আহত মাহমুদুল করিম বলেন, তাদের দীর্ঘদিনের দখলীয় বসভিটার জায়গায় আকস্মিক ভাবে এসে পৌরসভার কর্মচারী হায়দার আলীর নেতৃত্বে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। এতে বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ও আমার ৮০ বছরের বৃদ্ধ বাবা, ভাই ও ভাবিকে মারধর করে মারাত্মক ভাবে আহত করেন। এছাড়াও তারা আমাকে টেনেহিঁচড়ে ও মারধর করার সময়ে প্যান্টের পকেটে থাকা দোকানের ব্যবসায়িক ৮৫ হাজার টাকা ও ব্যাংকের বিভিন্ন কাগজপত্র লুট করে নেয়। ঘটনার পর থেকে ওই সন্ত্রাসীরা আমাকে এবং আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নানা ধরণের হয়রানী করার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। বর্তমানে এ নিয়ে চরমভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরণের ঘটনার বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। থানায় এজাহার দেওয়া হলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

 
Electronic Paper