বারবাকিয়া রেঞ্জ
প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে জব্দকৃত বালি
কক্সবাজার প্রতিনিধি
🕐 ৮:১৯ অপরাহ্ণ, মে ০৯, ২০২৪
![প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে জব্দকৃত বালি](https://www.kholakagojbd.com/media/main/2025/01/IMG-20240509-WA0002.jpg)
কক্সবাজারের পেকুয়া বন বিভাগের সংরক্ষিত বন থেকে জব্দ করা অবৈধ বালি মোট ৪ লাখ ৬হাজার ২শত ঘনফুট প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দিতে কাজ করছে বারবাকিয়া রেঞ্জ। চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অধিনে বারবাকিয়া রেঞ্জ কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের মধুখালী নামক সংরক্ষিত বনের গহিন অরন্য থেকে গত বছরের ২৫ মে ৩টি পয়েন্ট থেকে মোট ৪ লাখ ৬হাজার ২শত ঘনফুট বালি জব্দ করে চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অধিনে বারবাকিয়া রেঞ্জ । তা সংরক্ষিত বনে বিলিয়ে দিতে কাজ বরছে বারবাকিয়া রেঞ্জ ।
জানা যায়, তিনটি স্তুপের মধ্যে প্রথমটি ৩০ হাজারঘনফুট, ২য়টিতে ২লাখ ১১হাজার ২শত ঘনফুট, ও ৩য়টি ছিল ১লাখ ৬৫ হাজার ঘনফুট। এটি নিয়ে ২০২৩ সালে ইউ ডি ও আর মামলা দায়ের করেন পেকুয়া বারবাকিয়া রেঞ্জ । যার নং ১৭ টইটং অব ২০২২-২০২৩/ ৪৩/ বাবা।
বনবিভাগ বলছে, সংরক্ষিত বন থেকে যেসব বালি জব্দ করা হয় তা যদি প্রাকৃতিকভাবে বিলীন হওয়ার সুযোগ থাকে তা নিলামযোগ্য নয়। যেসব বালি গত বছর জব্দ করা হয়েছে তা বিলীন হওয়ার যোগ্য । বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে আবারো সেইসব বালি প্রকৃতির সাথে মিশে যাবে। যদিও মিশে না যায় তবে তা ডিসপোজ করার কথা রয়েছে । আমরা এখন তা প্রকৃতির সাথে যেন মিশে যায় তার প্রক্রিয়া করছি গত পরশু থেকে ।
এদিকে একটি পক্ষ সংরক্ষিত বনের জব্দকৃত বালি নিলাম দিতে । যদি তা করা হয় তবে বনে গাড়ি যাওয়ার জায়গা হলেই সেখান থেকে বালি উত্তোলনকারিরা আরো বালি উত্তোলন করার সুযোগ পাবে ও বনের পরিবেশ নষ্ট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল হক জানান, চটগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জাধীন টৈটং বিটের রিজার্ভ হারবাং মৌজার মধুখালি নামক এলাকা। গত বছরের ২৫মে । তারিখ বন বিভাগের জব্দকৃত বালু বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চকরিয়া, কক্সবাজার এর নির্দেশে যাহার স্মারক নং- ১৬৭৭(৩)/(৩)/গত ০২মে। এ আদেশের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের নির্দেশে মোঃ দেলোয়ার হোসেন। সহকারী বন সংরক্ষক, পদুয়া নেতৃত্বে ৮মে সকাল ১০টায় হতে রাত ১২ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের প্রথম দফায় আংশিক বালু প্রাকৃতিক পরিবেশে মিলিয়ে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের শহর রেঞ্জ,বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের শতাধিক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী বৃন্দ অভিযানে অংশহণ করেন। এবং বারবাকিয়া রেঞ্জের সুফল প্রকল্পের প্রায় দের শতাধিক সদস্য সহযোগিতা করেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](https://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)