মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ বাবা-ছেলে
ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ সোহেলের বাড়িতে শোকের মাতম
আল-আমিন কিবরিয়া, দেবিদ্বার (কুমিল্লা)
🕐 ৮:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৪
![ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ সোহেলের বাড়িতে শোকের মাতম](https://www.kholakagojbd.com/media/main/2025/01/5_18.jpg)
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পর্যটকবাহী ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ কনস্টেবল সোহেলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শনিবার সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ফতেহাবাদ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে শোকাবহ পরিবেশ। আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা বাড়িটিতে ভিড় করলেও সবার চেহারায়ই শোকের ছায়া।
কনস্টেবল সোহেল ওই গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য আবদুল আলিমের ছেলে। চাকরি করতেন ভৈরব হাইওয়ে থানায়। ছেলে, ছেলের বউ ও নাতী-নাতনীদের দুঃসংবাদ পেয়ে শুক্রবার রাতেই স্ত্রী ও স্বজনদের নিয়ে ভৈরব ছুটে গেছেন আবদুল আলিম। বাড়িতে স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। আর তাদের শান্তনা দিতে এসেছেন বেশ কজন প্রতিবেশী।
শনিবার বিকেলে সোহেলর স্ত্রী মৌসুমী আক্তার(২৫) ও তার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা ইভা(৪)সহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কনস্টেবল সোহেল রানা(৩২)ও তার ছেলে রাইসুল ইসলাম(৩)সহ পাঁচজনের মরেদেহ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। বাকিদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ।
সোহেলের প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ সাদেক মেম্বার বলেন, এ ঘটনা শুনে আমিসহ সোহেলের বাবা মা ও আত্মীয় স্বজনরা ভৈরব ঘটনা স্থলে যাই। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তার বাবা মা বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।
সোহেলের চাচাত ভাই ইমরান জানায়, ভাগনি মারিয়া আক্তারের অনুরোধে সোহেল তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ট্রলারে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এত নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় ১৬ জন যাত্রী ছিল। স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯/১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং তোফাজ্জল হক (২২) নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনায় কালে সোহেলের ভাগনী মারিয়া আক্তারকে অন্য আরেকটি ট্রলার জীবিত উদ্ধার করে।
ভৈরব নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, নিখোঁজদের মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানাসহ তার পরিবারের সদস্যদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। নৌপুলিশ তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, সকাল ৮টা থেকে ডুবুরিরা অভিযান শুরু হয়। দুপুর ১টার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া দুর্ঘটনা তলিয়ে যাওয়া ট্রলারটি শনাক্ত করা গেছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](https://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)