ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নাগরিক ভোগান্তি দূর করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৪

নাগরিক ভোগান্তি দূর করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা

নিরাপদ নগরীর সব সূচকে পিছিয়ে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেরও এই শহরকে পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়নি। ফলে শহরটির নাগরিকদের পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর সমন্বয়।বুধবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত নিরাপদ নগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এ আলোচকরা এসব কথা বলেন।

সেইসঙ্গে অনুষ্ঠানে পাঁচ সাংবাদিককে নগর সাংবাদিকতার জন্য বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে জনসংখ্যার ঘনত্বকে মাথায় রেখেই। তবে ঢাকামুখী অভিবাসনের যে স্রোত, তা থামাতে না পারলে উন্নয়নের সুফল পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ঢাকাকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করতে হলে তিনটি কাজ আমাদের করতে হবে। তা হচ্ছে- শহরকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে, কঠোর আইনের প্রয়োগ করতে হবে, আইন বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তবে আমাদের কাজের মাধ্যমে শহরের বাসযোগ্যতা আরও বাড়বে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক মো. সাইফুল আলম বলেন, নগরের সংকট সমাধানে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, গ্রাম হবে শহর, শহর হবে বাসযোগ্য এই স্লোগানে যেতে হবে।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও আগুন লাগে। এই শহর কতটা নিরাপদ? তা আমাদের প্রশ্নেই ঘাটতি ফুটে ওঠে। পৃথিবীর মেগাসিটির তালিকায় ঢাকা আয়তনের দিক থেকে ৪০তম, অথচ জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে প্রথম। এই শহরে ৫ লাখ গাড়ি চলার ব্যবস্থা আছে, অথচ চলে ১৬ লাখ গাড়ি। ঢাকায় রাস্তা, গাছ, জলাশয় অনেক কমলেও বাড়ছে শুধু মানুষ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লান্যার্স এর সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নগরায়ণ ও পরিবেশ সম্পাদক স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান, সাংবাদিক অমিতোষ পাল, বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হেলিমুল আলমসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান।

আলোচনা শেষে বেস্ট আরবান পাঁচ রিপোর্টারকে (পত্রিকা, অনলাইন ও টেলিভিশন) পুরস্কার হিসেবে ৫০ হাজার টাকা, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- রাশেদ আহমেদ (নিউএইজ), আল ফাতাহ মামুন (বণিক বার্তা), যৌথভাবে অমিতোষ পাল ও লতিফুল (সমকাল), রাজনীন ফারজানা (সারাবাংলা ডট নেট) এবং নাজমুল সাঈদ (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি)।

 
Electronic Paper