ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পল্লী বিদ্যুতের ভুলে থানায় ১৩ ঘন্টা আটক

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৫:২৫ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২৪

পল্লী বিদ্যুতের ভুলে থানায় ১৩ ঘন্টা আটক

রংপুরের গঙ্গাচড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভুলবশত করা মামলায় এক নারীকে ১৩ ঘন্টা থানায় আটক রাখার অভিযোগ উঠেছে। মামলায় ওই নারী ও তার স্বামীর নামের মিল থাকায় তাকে আটক করে পুলিশ ।

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম হাসিনা বেগম (৪৬) এবং তার স্বামীর নাম আব্দুল মান্নান। তার বাড়ি উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর নগরবন্দ এলাকায়। এবং অভিযুক্ত নারীর বাড়িও একই ইউনিয়নের বড়বিল তেলিপাড়া গ্রামে। তবে আটক ওই নারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কোন গ্রাহক নন। স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ অফিসে এসে সঠিক তথ্য দিলে পরে ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে , অভিযুক্ত হাসিনা বেগম (৫০) এর কাছে প্রায় ৩৬ মাসের ১৪ হাজার ৫শত টাকা বিদ্যুৎ বিল পায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। বকেয়া বিল আদায়ের জন্য দুই বছর আগে তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দায়ের করেন রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গঙ্গাচড়া জোনাল অফিস।

পুলিশের দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের করা মামলায় বিদ্যুৎ আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম জানান, রাত ১ টার সময় পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে বলে আপনার নামে ওয়ারেন্ট আছে। আপনাকে থানায় যেতে হবে। তখন আমি বলি আমার নামে কিসের ওয়ারেন্ট? আমি চোর, না ডাকাত, যে আমার নামে ওয়ারেন্ট হবে। আমাকে কাগজ দেখান তখন কাগজে দেখি আমার স্বামী ও আমার নাম। পরে আমি তাদের সাথে কথা না বলে থানায় চলে আসি। আমার কথা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কি মামলা করার সময় ভালো করে চেক করেন না। আজকে আমাকে থানায় আসা লাগলো আমার মানসম্মান নাই।

গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল জলিল জানান, একটু তথ্য ভুলের কারণে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে । আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত । ওই নারীকে ছাড়ার জন্য আমাদের অফিস থেকে একটা চিঠি দিয়েছি। চিঠি পেয়ে ওই নারীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুমুর রহমান জানান, আমরা ওই নারীকে গ্রেপ্তারের আগে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি এবং তারা আমাদেরকে সত্যতা নিশ্চিত করার পরেই ওই নারীকে আটক করা হয়। আদালতের পাঠানো গ্রেফতারী পরোয়ানায়ও ওই নারীর গ্রামের নাম ও স্বামীর নাম উল্লেখ করা আছে।

এ ব্যাপারে রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন,বিষয়টি দুঃখজনক তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলবো এ ধরনের কাজগুলো করার আগে তারা যেন বারবার সত্যতা যাচাই করে নেয়। কোনোক্রমেই যেন আমার রংপুর-১ আসনের সাধারণ মানুষ ভোগান্তির স্বীকার না হয়।

 
Electronic Paper